কোলেস্টেরল হাই। ডিসলিপিডিমিয়া। মানেই কোলেস্টেরল হাই, ট্রাইগ্লিসারাইড হাই, LDL হাই আর HDL লো। এতে কী ক্ষতি ? কোলেস্টেরল বাড়ার বিষয়টি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জানান দিয়ে আসে না। মানুষ তো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বোঝেনই না বেড়ে গিয়েছে কোলেস্টরল । তবে কারও কারও ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল লেভেল অতিরিক্ত বেড়ে গেলে, তা জানান দেয় কয়েকটি উপসর্গ মারফত। যেমন - 



  • হাতের গাঁট, হাঁটু বা় গোড়ালির পিছন ফুলে যাওয়া। একে বলে Tendon xanthomata

  •  চোখের ভিতরের কোণে বা পাতার উপরে হলুদ ছোপ বা পকেটের মতো তৈরি হওয়া।একে বলে Xanthelasmas। ছোট্ট ছোট্ট লাম্পের মতো দেখতে এগুলি।

  • চোখের আইরিসের চারপাশে একটি ফ্যাকাশে সাদা রিংয়ের মতো দেখা যাওয়া। একে বলে Corneal arcus। 

    এছাড়াও কতগুলি লক্ষণের দিকে নজর দিন (cholesterol symptoms )

  • আপনার পা, কোমরের নিচের অংশ, থাই এবং পায়ের পাতায় ক্র‍্যাম্প ধরছে ? বাতের ব্যথা বা স্ট্রেস বলে উড়িয়ে না দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন। 

  • ত্বক ফ্যাকাসে কিংবা নীলাভ হয়ে যাচ্ছে কি?  পায়ের নখ ভেঙে যাচ্ছে ? বাড়ছে না ?  তাহলে পরীক্ষা করান।

  • অনেক সময় হাই কোলেস্টেরলে বুকে ব্যাথাও হতে পারে।  এই সমস্যা বারবার হলে এড়িয়ে যাবেন না মোটেই ৷

  • ঘাড় ও মাথার পিছনে ভীষণ ব্যথা হচ্ছে মাঝে মাঝেই? ফিরে ফিরে আসছে ব্যথা ? এটাও কোলেস্টেরলের লক্ষণ কিন্তু।

  • কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ বুক ধড়ফড় করছে ? মনে হচ্ছে, হৃদপন্দন বেড়ে গিয়েছে ? তাহলে কোলেস্টেরল পরীক্ষা তো করাতেই হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্লাড প্রেসারও পরীক্ষা করান।

    এবার জেনে নিন কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কী করবেন। জীবন যাত্রায় সামান্য পরিবর্তন কোলেস্টেরল বাগে আনতে সক্ষম, যদি কোনও সহ-অসুস্থতা না থাকে। (how to reduce cholesterol )

  • তেলে ভাজা কোনও জিনিসই খাওয়া যাবে না। তা চিপস থেকে শুরু করে মাছ ভাজা কিছুই চলবে না । 

  • ঘি, বাটার, ডালডা এগুলো একেবারেই বারণ। লো ফ্যাট বাটার, মার্জারিন এগুলোও কিন্তু খাওয়া যাবে না। 

  • ডিমের কুসুম একেবারেই খাওয়া যাবে না তা নয়। ডিমের কুসুম খাওয়ার জন্য হাই কোলেস্টেরল হল, এমনটা কিন্তু বিজ্ঞান বলে না। তাই ডিম একটা করে খেতেই পারেন। 

  • রিফাইনড অয়েল খাওয়া ভাল, সেটা কিন্তু নয়। যে কোনও তেলই বাদ দিতে হবে । 

  • শাক-সবজি-ফল, এগুলো তো প্ল্যাটারে রাখতেই হবে, কিন্তু কোনওটাই যেন ভাজা না হয়। 

  • মাছ, মাংস খান, তবে কষিয়ে রান্না করে নয়। হালকা ভাবে রান্না করা খাবার খেতে হবে। 

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ কোলেস্টেরল, হার্টের স্বাস্থ্য , সবকিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে দেহের ওজন । তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত হাঁটা চলা করুন। 

  • ওটস , বার্লি, সয়াবিন, তৈলাক্ত মাছ , বিভিন্ন ফল যুক্ত করুন আপনার ডায়েটে।