নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য এখন বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন। নানারকম টোটকাও প্রয়োগ করছেন অনেকে। কিন্তু এ বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সবার শারীরিক অবস্থা একইরকম নয়। তাই সবার জন্য একইরকম টোটকা কার্যকর হবে না। এতে উল্টে ক্ষতি হতে পারে।


এখন অনেকেই ভেষজ চা খাচ্ছেন। আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, মধু, পাতিলেবু, তুলসিপাতা দেওয়া চা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে স্বাস্থ্য ভালও হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই চা অতিরিক্ত পান করলে শরীরের ক্ষতিও হতে পারে। যাঁরা সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাঁদের পক্ষে এই চা খাওয়া উপকারী। এর ফলে তাঁদের শরীর ভাল হতে পারে। কিন্তু যাঁদের পিত্ত বা বাতের সমস্যা আছে, তাঁদের পক্ষে উষ্ণ পানীয় সেবন ঠিক নয়। ভেষজ চা তাঁদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

একদিনে কতবার ভেষজ চা খাওয়া যেতে পারে? চিকিৎসকরা বলছেন, শারীরিক অবস্থা বুঝে এই চা খাওয়া উচিত। যাঁদের বাত রয়েছে, তাঁরা একদিনে সর্বোচ্চ দু’বার এই চা খেতে পারেন। এই ধরনের ব্যক্তিরা ভেষজ চায়ে সামান্য ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে যাঁদের শরীরে পিত্তর সমস্যা আছে, তাঁদের দিনে একবারের বেশি ভেষজ চা খাওয়া উচিত নয়। সন্ধেবেলা খেলেই সবচেয়ে ভাল হয়। খালি পেটে কোনওদিনই এই চা খাওয়া উচিত নয়। যাঁদের সর্দি-কাশির সমস্যা আছে, তাঁরা দিনে দু-তিনবার ভেষজ চা খেতে পারেন। এই ধরনের ব্যক্তিদের ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাঁদের শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে দারুণ কাজ দিতে পারে ভেষজ চা।

এই ধরনের চা বেশিমাত্রায় খেলে শরীরের কী ক্ষতি হতে পারে? চিকিৎসকদের মতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রোজ ভেষজ চা খেলে উল্টে অনেকরকম ক্ষতি হতে পারে। একজন মানুষের বয়স, শারীরিক অবস্থা এবং আবহাওয়া বিচার করে তবেই তাঁর জন্য ভেষজ চা তৈরি করা উচিত। সবার ক্ষেত্রে এই চা সমান কাজ দেয় না। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তবেই ভেষজ চা খাওয়া উচিত। ১০০ মিলিলিটার জলে ভেষজ চায়ের সব উপকরণ দিয়ে ফুটিয়ে সেই জল অর্ধেক করে নিয়ে তবে খাওয়া যেতে পারে।