সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির দেবী শ্রীলক্ষ্মী। শ্রীবিষ্ণুর স্ত্রী। তাঁকে অচঞ্চল রাখতে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে বন্দনা করা হয়। সারা দেশে দীপাবলির রবিবার বাংলার ঘরে ঘরে পুজো হয় কোজাগরী লক্ষ্মীর । কোথাও ঘটে, কোথাও পটে, কোথাও আবার মূর্তি এনে পুজো হয়। তবে পুজো যেভাবেই হোক না কেন, লক্ষ্মীপুজোর দিন এই নিয়মগুলি মেনে চলুন।  রাতে আকাশে যখন উঁকি দেবে পূর্ণিমার চাঁদ, ঘরে ঘরে তখন বাজাতে হবে শাঁখ। সাধ্যমতো করতে হবে সমৃদ্ধির দেবীর পুজো। ‘কঃ জাগর’ শুনতে রাত জাগতে হবে।  বিশ্বাস,  পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় যখন উদ্ভাসিত চরাচর, তখনই মা লক্ষ্মী পা রাখবেন মর্ত্যের মাটিতে। বিত্তশালী হবে ধরা!



  •  আমিষ পদ এড়িয়ে চলুন

  • মঙ্গলঘট পরিষ্কার জল দিয়ে ভরুন।

  •  ঘটের উপর নারকেল রাখতে হবে।

  • ঘট লাল কাপড়ে মুড়ে রাখুন, লাল সুতো দিয়ে বেঁধে রাখুন।

  •  ঘটে আঁকুন স্বস্তিক চিহ্ন। এই চিহ্ন সমৃদ্ধির প্রতীক।

  • ঘটের জলের মধ্যে চাল ও মুদ্রা রাখুন।

  • মা লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে একই সঙ্গে নারায়ণও পুজো করুন।

  • এই দিন লক্ষ্মী হিসেবে কল্পনা করে ছোট কোনও মেয়েকে তাঁর পছন্দের পাঁচরকম জিনিস উপহার দিন।

  • বিশ্বাস করা হয়, লক্ষ্মীপুজোর দিন গঙ্গাস্নানে পুণ্যলাভ হয়। 

  • লক্ষ্মী পুজোর দিন অবশ্যই লক্ষ্মী পাঁচালী পড়া আর মা লক্ষ্মী ১০৮ নাম স্মরণ করা আবশ্যক।

  • লক্ষ্মীপুজোয় দান-ধ্যানে পুণ্যার্জন হয়।

  •  বাড়ির সদর দরজায় মায়ের পদ চিহ্ন আঁকা শুভ মনে করা হয়।

  •  দেবীর মূর্তি বা পটের সামনে পাঁচটি কড়ি রেখে পুজো করুন। সেই কড়ি সযত্নে তুলে রাখুন আলমারিতে। 

    এই পুজোয় মহিলাদেরই অগ্রাধিকার৷ সন্ধ্যায় পুজো করে সারারাত জেগে থাকাই কোজাগরী-রীতি। ‘কোজাগরী’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘কঃ জাগর’ শব্দবন্ধ থেকে। ‘কঃ’ মানে কে, ‘জাগর’ শব্দের অর্থ জেগে আছ। অর্থাৎ, কে জেগে আছ?  মানুষের বিশ্বাস, এদিন রাতে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবী৷ যে ভক্ত রাত জেগে তাঁর আরাধনা করেন, তাঁকে আশীর্বাদ করে যান তিনি ৷ তাঁকেই ধনসম্পত্তিতে ভরিয়ে দেন মা লক্ষ্মী।

  •