মাঙ্কিপক্স (Monkeypox ) কি?
করোনা-উদ্বেগের মধ্যেই বাড়ছে মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ। আগেই বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যভিত্তিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার সেই পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও । ভারতেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কী এই রোগ ? মাঙ্কিপক্স হল একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা স্মলপক্স ভাইরাসের মতো। এটি একটি নতুন ভাইরাস নয়।
বিশেষক্ষদের কেউ কেউ বলছেন, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি প্রথম ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে এবং তারপর ১৯৭০ এর দশকের শুরুতে মানুষের মধ্যে দেখা যায় ৷ যদিও মাঙ্কিপক্স এবং গুটিবসন্তের একই উপসর্গ , তবে মাঙ্কিপক্স থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কম বলে মনে করা হয়।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ফুসকুড়ি
- জ্বর
- ঠান্ডা লাগা
- শরীরে ব্যথা
- ক্লান্তি
- মাথাব্যথা
- শ্বাসকষ্টের লক্ষণ
- গলা ব্যথা, কাশি এবং নাক বন্ধ
- ফোলা লিম্ফ নোড
দেখা যাচ্ছে, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে: - মুখ
- যৌনাঙ্গ
- মুখ
- হাত
- পা
- বুক
- মলদ্বার
ফুসকুড়ি ফোসকা বা পিম্পলের মতো হয় এবং তারপরে তরল এবং পুঁজ বের হতে পারে। ফুসকুড়ি খুব যন্ত্রণাদায়ক।
কীভাবে ছড়ায়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের প্রাথমিক মোড হল ত্বক থেকে ত্বকের যোগাযোগ। মাঙ্কিপক্স ফুসকুড়ি, বা শরীরের তরলগুলির সাথে সরাসরি যোগাযোগ থেকে এই রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস প্রশ্বাসের নিঃসরণ থেকে ছড়াতে পারে। যৌন ক্রিয়াকলাপ, আলিঙ্গন, চুম্বন থেকেও ছড়াতে পারে। কোনও কোনও চিকিৎসকের দাবি, গর্ভবতীর প্লাসেন্টার মাধ্যমে তাদের ভ্রূণে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।
মাঙ্কিপক্স (monkeypox) সংক্রমিতের খোঁজ মিলল দিল্লিতে (delhi)। এই নিয়ে দেশে সরকারি ভাবে আক্রান্তের (infection) সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। রাজধানীর প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন করে যে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে তিনি নাইজেরিয়ার (nigeria) বাসিন্দা। বয়স ৩১ বছর। ভারতে এই প্রথম কোনও মহিলার দেহে মাঙ্কিপক্সের খোঁজ মিলল। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, আক্রান্তের হালে কোনও বিদেশ সফরের রেকর্ড নেই। আপাতত জ্বর এবং ত্বকের সমস্যা নিয়ে দিল্লি সরকার পরিচালিত এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।