Monsoon Health Care Tips: বর্ষাকালে এমনিতেই পেটের সমস্যা বাড়ে। লিভারের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। যাঁরা অল্পেতেই পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা বর্ষাকালে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু বেশিই সতর্ক থাকা জরুরি। বর্ষার মরশুমে কোন কোন ধরনের খাবার খেলে আপনার লিভার ভাল থাকবে এবং পেটের সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকবেন, জেনে নিন। 

কাঁচা হলুদ 

কাঁচা হলুদ খেতে পারেন বর্ষাকালে। গরম ভাতের সঙ্গে কাঁচা হলুদ বাটা খেতে পারলে পেটের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। বর্ষায় লিভার ভাল রাখতে চাইলে খালি পেটে হাল্কা গরম জলে হলুদ মিশিয়েও খেতে পারেন নিয়ম করে। গরম দুধেও হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। যেহেতু হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ রয়েছে, তাই এই উপকরণ বিভিন্ন ধরনের রোগভোগ, সংক্রমণ থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। 

কাঁচা রসুন 

কাঁচা রসুন খাওয়া শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক কারণেই ভাল। তবে এক বা দু'কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাবেন না। খালি পেটে কাঁচা রসুনের কোয়া খেলে ভাল থাকবে লিভারের স্বাস্থ্য। দূর হবে পেটের যাবতীয় সমস্যা। বদহজম, অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর হয় এই টোটকায়। তবে কাঁচা রসুন বেশি খেয়ে ফেললে পেট গরম হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন। 

বিটের রস 

বর্ষার মরশুমে বিটের রস খেতে পারেন। বডি ডিটক্সিফিকেশন কাজ করে বিটের রস। বিটরুট জুস বর্ষাকালে খেলে ভাল থাকবে আপনার লিভারের স্বাস্থ্য। পেটের অনেক সমস্যা কমবে সহজে। শুধু বর্ষাকালে নয়, সারা বছরই বিটের রস খাওয়া যায়। আপনি স্যালাড কিংবা সবজিতেও বিট দিয়ে খেতে পারেন। 

কাঁচা আমলকি, আমলকির রস কিংবা সেদ্ধ  

শুধু বর্ষাকালে নয়, আমলকি খাওয়া সারা বছরই ভাল। গরম ভাতের সঙ্গে আমলকি সেদ্ধ খেলে পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাইলে কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা খেতে পারেন আমলকির রস। লিভার ডিটক্সের কাজ করে আমলকির রস। অ্যাসিডিটি, বদহজম, গ্যাসের সমস্যা, আমাশয় - এইসব কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে আমলকি। 

সবুজ রঙের শাকপাতা জাতীয় খাবার 

সবুজ রঙের শাকপাতা জাতীয় সবজি খাওয়া সবসময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। লিভার ভাল রাখে। বডি ডিটক্সিফিকেশনে কাজ করে। তবে সতর্ক থাকা জরুরি। ভালভাবে এইসব শাকপাতা জাতীয় সবজি ধুয়ে তারপর খেতে হবে। কাঁচা খাওয়া চলবে না। তাহলে পেটের সমস্যা বাড়বে। তাই একদম ভালভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে তবেই রান্না করুন। 

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।