কলকাতা: আর কিছুক্ষণ পরেই পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানোর পালা। ২০২১ সালকে বিদায় জানিয়ে ২০২২-কে স্বাগত জানানোর পালা। করোনা, ওমিক্রন (Omicron) আবহে খুব একটা ভাল যায়নি চলতি বছরও। মানসিক ও শারীরিকভাবেও অনেক ঘাত-প্রত্যাঘাতের সম্মুখিন হতে হয়েছে সবাইকে। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরে সংকল্প নেওয়া যাক ভাল থাকার, সুস্থ থাকার। কিন্তু কীভাবে?
আমাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বজায় রাখা বর্তমান সময়ের নিরিখে প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও COVID-19 মহামারি আমাদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলেছে। পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা যেন থাকে। যেমন শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, লেবু, বাদাম, বীজ এবং বিশুদ্ধ প্রোটিন উৎস। এছাড়াও রুটি, পনির, মাংস যেন থাকে খাবারের তালিকায়। পেট কখনও যেন খালি না থাকে। একেবারে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়ার গোটা দিন জুড়ে খেতে হবে। নিজের ডায়েটের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়ার পরিমান বাড়াতে হবে। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিরাময় হয়। এছাড়াও ইমিউনিটি সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে এমনকী চুলের বৃদ্ধি ঠিক রাখে। প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসা অভ্যেস করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময় ঘুম শরীরের সুস্থতার জন্য দরকার। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এমনই যে ঘুমের পরিমাণ ঠিক থাকে না, কিন্তু সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। নইলে ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায় শরীরের। ঘুমের অভাব এবং ঘুমের নিম্নমানের কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ইনসুলিন প্রতিরোধ, স্নায়বিক সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ইত্যাদি হতে পারে।
মানসিক চাপ যাতে আপনাকে গ্রাস না করতে পারে। কারণ মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হজমের ব্যাঘাত হতে পারে। মানসিক চাপ অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয়ই হতে পারে। প্রতিদিনের একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা। সকাল থেকে সেই রুটিম মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত। কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিগত জীবনের দূরত্ব যেন বজায় থাকে। নিজের জীবনটি নিজে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবনা চিন্তা রাখুন। আশাহত হওয়া যাবে না। নিজের লক্ষ্যস্থির রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিন কীভাবে কাটাবেন? রইল কিছু আইডিয়া