কলকাতা : এখন ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষ। আজ একাদশী তিথি। পাপমোচনী একাদশী (Papmochani Ekadashi) পালন করা হয় আজ। আজকের তিথিতে একাদশী ব্রত রাখার প্রচন আছে।  


কী কী করতে হয়  ?


সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে উঠতে হবে। কুশ ও তিল ভেজানো জলে স্নান করতে হবে। একাদশীর পুজো সেরে তবেই ভোজনের রীতি। তবে উপবাস না করতে পারলেও ক্ষতি নেই। 
 চাল-গম খেতে নিষেধ করেন অনেকে। ফল, দুধ, মিষ্টি, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। পরের দিন সকালেও নারায়ণের পুজো করতে হয় বলে বিধি। 


ব্রতপালনে কী লাভ ? 


এই ব্রত করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। হোলিকা দহন ও চৈত্র নবরাত্রির মধ্যে আসে এই একাদশী তিথি। পাপমোচনী একাদশীকে কখনও কখনও  গুরুভার একাদশীও বলা হয়। যখন এই একাদশী বৃহস্পতিবার পড়ে, তখনই এই নামকরণ হয়। মনে করা হয়, এই একাদশীর উপবাস অত্যন্ত কল্যাণকর। মনের কামনা পূর্ণ হতে পারে ব্রত পালনে। এই দিন উপাস্য দেবতা নারায়ণ।  একাদশীতে উপবাস করলে নারায়ণের বরদান মেলে বলে বিশ্বাস। একাদশীর দিন ‘শ্রী বিষ্ণু সহস্রনাম’পাঠ করেন অনেকে। 


নারায়ণ তুষ্ট হন কীসে ? 
দেবতা নারায়ণ তুলসী পাতা, ফুল, ফল, ধূপে সন্তুষ্ট হন। সন্ধেয় শীতল ভোগ দিন, অর্থাৎ লুচি, সুজি সহযোগে ভোগ। মন্দিরে নারায়ণ শিলা থাকলে পুজো দিতে পারেন।  


পাপমোচনী একাদশীর ব্রতকথা কেমন : 
চৈত্ররথ বনে অপ্সরারা নপুংসকদের সঙ্গে থাকতেন। সেখানে মেধবী নামে এক সন্ন্যাসী তপস্যা করছিলেন। তিনি শিব-ভক্ত। একদিন এক সুন্দরী অপ্সরা তাঁকে মুগ্ধ  করে।  তাঁরা ঘনিষ্ঠ হন। তারপর একদিন অপ্সরা ঋষির থেকে স্বর্গে যাওয়ার অনুমতি চান। তখন ঋষি অনুধাবন করেন, পঁচাত্তর বছর ভোগে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। তখন তিনি অপ্সরাকে অভিশাপ দেন।  পরে অবশ্য পাপমুক্ত হওয়ার উপায়ও বলেন। সেটাই পাপমোচনী একাদশীর ব্রত পালন।