Pistachios: আমন্ড, আখরোট, চিনাবাদামের থেকেও 'হেলদি স্ন্যাক্স' হিসেবে অনেক উপকারী পেস্তা বাদাম। প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে পেস্তার মধ্যে। একটা ডিমের সমান প্রোটিন থাকে এই বাদামের মধ্যে। এছাড়াও পেস্তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং হেলদি ফ্যাট। এর পাশাপাশি পেস্তায় থাকে অ্যান্টিক্সিডেন্টস, যা আমাদের কোষের ক্ষয় রোধ করতে দারুণ ভাবে কাজ করে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শুরু করে হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখা, সব কাজ একাই করতে পারে পেস্তা বাদাম। আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই রোজ সামান্য পরিমাণে পেস্তা খাওয়া যেতেই পারে শরীর, স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য। তবে পরিমাণে খুবই অল্প খেতে হবে। নাহলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। পেট গরম হয়ে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। 

  • পেস্তায় রয়েছে মোনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এগুলি হেলদি ফ্যাট যা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেস্তায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ইনফ্লেমেশনের সমস্যা কমায় আমাদের ব্লাড ভেসেলগুলির ক্ষেত্রে। অতএব সার্বিক ভাবে ভাল থাকে হার্ট। 
  • পেস্তা লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায় পেস্তা বাদাম। হাই সুগারের রোগীরা অবশ্য পেস্তা খাবেন কিনা সে ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিলেই ভাল। 
  • ফাইবার এবং প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকার ফলে পেস্তা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে। খাইখাই ভাব বা ক্রেভিংস কম হবে। এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার ওজন। অল্প খিদে পেলে কয়েকটা পেস্তা বাদাম খেতে পারলে অনেকক্ষণ আর খিদে পাবে না আপনার। 
  • পেস্তার মধ্যে থাকা ফাইবার আমাদের অন্ত্রের জন্য উপকারী মাইক্রোবায়োম তৈরিতে সহায়তা করে। এর ফলে ভাল থাকে অন্ত্রের স্বাস্থ্য। খাবার ভালভাবে এবং সহজে হজম হয়। আর তার ফলে বদহজম, গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দেখা দেয় না। 
  • পেস্তায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, থিয়ামিন। এইসব উপকরণ ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই বাদামে রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপকরণ। সেগুলি ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তবে হাই প্রেশারের রোগীরা পেস্তা খেতে পারবেন কিনা, তা একবার চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করে নেওয়া ভাল। 

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।