কলকাতা : প্রোটিন আমাদের শরীরের ভিত্তি। এটি পেশি, হাড়, ত্বক এবং মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের প্রতিদিন প্রায় ৪৬ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত এবং পুরুষদের ৫৬ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। যদি শরীর কম প্রোটিন পায়, তাহলে ধীরে ধীরে অনেক গুরুতর রোগ দেখা দিতে পারে।

প্রোটিনের ঘাটতির লক্ষণ-

  • প্রোটিনের ঘাটতির প্রথম লক্ষণ হল- ফোলাভাব। হাত, পা বা পেটে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। এটি ঘটে কারণ, প্রোটিন রক্তে তরল পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখে। যখন এর ঘাটতি হয়, তখন টিস্যুতে জল জমা হতে শুরু করে এবং শরীর ফুলে যায়।
  • প্রোটিন কেবল পেশি তৈরি করে না, মস্তিষ্ককেও সুস্থ রাখে। এতে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কের কেমিক্যালস (যেমন ডোপামিন, সেরোটোনিন) তৈরিতে সাহায্য করে। যদি এগুলির ঘাটতি থাকে, তাহলে একজন ব্যক্তি খিটখিটে, দুঃখী এবং বিষণ্ণ বোধ করতে পারেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে এর কারণ প্রোটিনের অভাব হতে পারে। শরীরে শক্তি সরবরাহকারী হরমোন এবং এনজাইম তৈরির জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। এর অভাব দুর্বলতা, অলসতা এবং মানসিক ক্লান্তি বাড়ায়।
  • প্রোটিনে উপস্থিত কেরাটিন এবং কোলাজেন চুল, ত্বক এবং নখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পায় না, তখন চুল পড়তে শুরু করে, নখ ভেঙে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
  • যদি আপনার সবসময় খিদে লাগে, তাহলে এটি প্রোটিনের অভাবের লক্ষণও হতে পারে। প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অপ্রয়োজনীয় আকাঙ্ক্ষা রোধ করে। যদি এর ঘাটতি থাকে, তাহলে বারবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে।

মানুষ প্রায়শই প্রাথমিক লক্ষণগুলিকে ছোটখাটো ভেবে উপেক্ষা করে। কিন্তু যদি এই লক্ষণগুলি সময়মতো না বোঝা যায়, তাহলে গুরুতর প্রোটিনের ঘাটতি (যেমন কোয়াশিওরকার) দেখা দিতে পারে।

প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে খাদ্য তালিকায় কী কী খাবার রাখা উচিত ?

খাদ্য তালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার (Protein Riched Foods) অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না। দুধ, ডাল, ডিম, মাছ, সয়া, পনির এবং শুকনো ফল ভালো উৎস। যদি লক্ষণগুলি তীব্র হয়, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।