কলকাতা : হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই অবসান হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের (Students) প্রতীক্ষার। সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) অপেক্ষা। কারণ, এই দিনটায় শিক্ষার্থীরা সকলে মিলে একসঙ্গে পুজোর জোগাড় থেকে শুরু করে অঞ্জলি দেওয়া, হইহুল্লোড়ে মেতে ওঠেন। ভক্তিভরে বাগদেবীর কাছে প্রার্থনা করে নেয়, যাতে সারাবছর পড়াশোনায় মন বসে। কারণ, হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস অনুসারে, সরস্বতী জ্ঞানের দেবী। শ্বেতশুভ্র সাজে বীণা হাতে আমাদের কাছে আসেন মা সরস্বতী। বাগদেবীর আরাধনা হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
সরস্বতী পুজোকে বসন্ত পঞ্চমীও বলা হয়। মূলত মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় এই পুজো। বসন্ত পঞ্চমী বসন্তের সূচনা করে। সনাতন ধর্মে মা সরস্বতীর আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ তিনি জ্ঞানের দেবী এবং জ্ঞানের দেবীকে বলা হয়েছে জগতের সব কিছুর থেকে শ্রেষ্ঠ। এই ভিত্তিতে দেবী সরস্বতী সবার থেকে শ্রেষ্ঠ। মনে করা হয় যে, বসন্ত পঞ্চমীতে দেবী সরস্বতীর পুজো করলে মা লক্ষ্মী ও দেবী কালীরও আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
বসন্ত পঞ্চমী তিথি-
এবার বসন্ত পঞ্চমী অর্থাৎ মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হচ্ছে ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২.৩৪ মিনিটে। এটি পরের দিন ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০.২৮ টায় শেষ হবে। উদয়তিথি অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমী ২৬ জানুয়ারি পুজো হবে।
সরস্বতী পুজোর মুহূর্ত-
এবছর ২৬ জানুয়ারি, ১১ মাঘ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো। ২৬ জানুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর শুভ সময় সকাল ০৭:১২ থেকে বিকাল ১২:৩৪ পর্যন্ত। এই দিনে সরস্বতী পুজোর জন্য ৫ ঘন্টারও বেশি সময় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, সরস্বতী পুজোর এই বিশেষ দিনে হলুদ রঙের পোশাক পরার অন্যতম কারণ হিসেবে জানা যায়, হলুদ রং মানুষের মনে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। নেতিবাচক সমস্ত শক্তির অবসান ঘটিয়ে ইতিবাচকভাবে যে কোনও কিছুর শুরুর জন্য হলুদ রঙের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, প্রকৃতিতে যখন হলুদ রঙে সেজে ওঠে, তখন তা আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। এই সমস্ত কারণেই এই দিনে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে পড়ুয়ারা এমনকী বড়রাও হলুদ রঙের পোশাক পরেন।
আরও পড়ুন ; কোন সময়ে কোন মন্ত্রে তুষ্ট করা যাবে বাগদেবীকে? দেখে নিন সেই নিয়ম