Detox Water Drinks: ওজন কমাতে ডিটক্স ডায়েট করছেন প্রায় রোজই? সবসময়েই পান করছেন ডিটক্স ড্রিঙ্কস? অতিরিক্ত ডিটক্স ডায়েট এবং ডিটক্স ওয়াটারের প্রতি নির্ভরশীলতাও ডেকে আনতে পারে সর্বনাশ। শরীর-স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হতে পারে। জেনে নিন, নাগাড়ে ডিটক্স ডায়েট করলে কিং ডিটক্স ড্রিঙ্কস খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে আপনার শরীরে। 

ওজন কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্যে করে বিভিন্ন ধরনের ডিটক্স ড্রিঙ্কস। শরীর হাইড্রেটেডও রাখে এই ধরনের পানীয়। ডিটক্স ওয়াটারের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শরীরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ অর্থাৎ টক্সিন বের করে আনা। অর্থাৎ ডিটক্স ওয়াটার শরীর ভিতর থেকে পরিশ্রুত করে রাখে। কিন্তু তাই বলে প্রচুর ডিটক্স ওয়াটার বা ড্রিঙ্কস পান করা উচিত নয়। অনেকেই আছেন, সারাদিন প্রায় ডিটক্স ওয়াটার, ডিটক্স ড্রিঙ্কস, ডিটক্স ডায়েটের উপরেই থাকেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। 

  • সারাক্ষণ বডি ডিটক্সিফিকেশন হবে এমন খাবার কিংবা পানীয় খেতে থাকলে শরীর অতিরিক্ত ডিটক্সিফাই হয়ে গিয়ে অনেক উপকরণের অভাব হতে পারে। প্রচুর ডিটক্স ড্রিঙ্কস খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেলস, নিউট্রিয়েন্টসের অভাব দেখা দিতে পারে। 
  • শরীরে একসঙ্গে ভিটামিন, মিনারেলস, নিউট্রিয়েন্টসের মাত্রা কমে গেলে দুর্বল হয়ে যাবেন আপনি। কমবে ইমিউনিটিও। ডিটক্স ওয়াটার কিংবা ড্রিঙ্ক বেশি খাওয়া হয়ে গেলে শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে অস্বাভাবিক মাত্রায়। শরীর ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তার খারাপ প্রভাব পড়বে কিডনির স্বাস্থ্যে। কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। কিডনি ফেলিওরের সমস্যা রুখতে সাবধানে থাকা জরুরি। 
  • অতিরিক্ত ডিটক্স ড্রিঙ্কস পান করলে আমাদের শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতার পাশাপাশি একটা ঝিম ধরা ভাবও দেখা যাবে। মূলত নিউট্রিয়েন্টসের অভাব থেকেই এই ঝিমানি দেখা যায়। তাই ডায়েট করতে গিয়ে শুধু ডিটক্স ওয়াটার খেলে হবে না। এর ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। 

ডিটক্স ড্রিঙ্কস বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন আপনি। মূল উপকরণ হিসেবে শসা, পাতিলেবু, বিটনুন এগুলি ব্যবহার করলেই হবে। ডিটক্স ওয়াটার বা ড্রিঙ্কস কাচের পাত্র রেখে পান করাই ভাল। শরীর-স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে চাইলে ডিটক্স ওয়াটার, ডিটক্স ড্রিঙ্কস মাঝে মাঝে পান করুন, ডিটক্স ডায়েটও করুন, কিন্তু সেটা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। 

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।