Winter Skin Care Tips: ত্বকের পরিচর্যায় (Skin Care) একাধিক নিয়ম মেনে চলি আমরা। তবে খুব সাধারণ কিছু ভুল অজান্তেই করে ফেলি। তাই আর একটু বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই আপনার ত্বক (Skin Care Tips) সারাবছর থাকবে মসৃণ, পেলব, মোলায়েম এবং উজ্জ্বল। এবার দেখে নিন কী কী করা জরুরি। 


ত্বক ভাল রাখতে কতটা জল প্রতিদিন খাবেন 


দিনে অন্তত সাত থেকে আট গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে ত্বক থাকবে হাইড্রেটেড। অর্থাৎ আর্দ্র থাকবে ত্বক। রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দেখা যাবে না। তবে শুধু জল খেলেই কিন্তু হবে না। এমন খাবার এবং সবজি, ফল খেতে হবে যেখানে জলীয় উপকরণ বেশি। তবেই আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। জলের ঘাটতি হয়ে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যাবে না। তার ফলে ত্বকও থাকবে ময়শ্চারাইজড। শসা, তরমুজ, পালংশাক, লেটুস পাতা, টোম্যাটো, কমলালেবু- এগুলি শীতের মরশুম জুড়ে পাতে রাখুন। তাহলে ত্বকের রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর হবে সহজেই। 


শরীরচর্চা কীভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে 


নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করলে শরীরের ভিতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসে। এর ফলে ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকেন আপনি। আর এই প্রভাবে সবার আগে ব্রনর সমস্যা। তাই প্রতিদিন শরীরচর্চা করতেই হবে। যোগাসন করুন বা জিমে গিয়ে ওয়ার্ক আউট কিংবা বাড়িতে ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ অথবা রোজ সকালে হাঁটাচলা, জগিং- কিছু না কিছু ভাবে শরীরচর্চা রোজ করা প্রয়োজন। তবেই শরীর ভিতর থেকে পরিশুদ্ধ থাকবে এবং ত্বকে ব্রন, কালচে দাগছোপ, চোখের তলায় কালি- এইসব সমস্যা দেখা যাবে না। 


ত্বকের পরিচর্যা কী ধরনের উপকরণ ব্যবহার করবেন সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকুন 


শীতের মরশুমে বিশেষ করে এবং বছরের অন্যান্য সময়েও ত্বকের পরিচর্যায় হাইড্রেটিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ভাল। এর ফলে ত্বকে ময়শ্চারাইজড ভাব বজায় থাকবে। ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হবে না। বাজারচলতি প্রোডাক্ট না কিনে সম্ভব হলে বাড়িতে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ত্বকের যত্ন নিন। এক্ষেত্রে সবার আগে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। এছাড়াও হলুদ, মধু, চন্দন, চিনি, দুধের সর, বেসন - এগুলি সবই ব্যবহার করা যায় ত্বকের পরিচর্যায়। ভালভাবে ত্বক পরিষ্কার করার দিকে নজর দিন। কখনই এমন কোনও উপকরণ ত্বকে ব্যবহার করবেন না যার মধ্যে গুঁড়ো কোনও জিনিস রয়েছে। এর ফলে ত্বকের গঠনের ক্ষতি হতে পারে। 


আরও পড়ুন- ত্বকের যত্নে গোলাপ জল কীভাবে ব্যবহার করা উচিত? কী কী উপকার পাবেন?