কলকাতা : বাড়িতে রাখা সমস্ত কিছুর প্রভাব বাড়ির সদস্যদের উপর পড়ে। এমন কথাই বলে বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Shastra)। বাড়িতে থাকা ঘড়িরও ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বাস্তু অনুসারে, ঘড়ি বাড়ির ভুল দিকে রাখলে এর খারাপ প্রভাব পড়ে। ভুল দিকে লাগানো ঘড়ি আপনার আর্থিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করতে পারে। আসুন জেনে নিই, বাস্তু অনুসারে ঘড়ির সঠিক নিয়ম কী।


ঘড়ি রাখার কিছু নিয়ম-


ঘড়ি মূল দরজা বা বাড়ির অন্য কোনও দরজার উপরে রাখা উচিত নয়। বাস্তু অনুসারে, এর ফলে বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় বা ভিতরে আসার সময় নেতিবাচক শক্তি তৈরি হয়। তাতে ঘরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া ঘরের কোনও ঘড়ি নষ্ট হয়ে গেলেও তা ঘরের ভেতরে রাখা উচিত নয়। এতেও নেতিবাচক শক্তির সৃষ্টি হয়।


বন্ধ ঘড়ি অবিলম্বে ঘর থেকে বের করে দিতে হবে। এমনটা মনে করা হয় যে, ঘড়ি বন্ধ থাকলে খারাপ সময়ও থমকে যায়। তাই বন্ধ হওয়া ঘড়ি অবিলম্বে মেরামত করা উচিত। ঘরের কোনও ঘড়িতে ধুলো জমতে দেবেন না। বাস্তু অনুসারে, ঘড়িতে ধুলো জমলে অগ্রগতিতে বাধা দেয়। ঘড়ির কাঁটা কখনই সঠিক সময়ের থেকে সামনের দিকে বা পিছনের দিকে যাওয়া উচিত নয়। এটা মনে করা হয় যে, ঘড়ির সময় ঠিক না থাকলে নিজের সময়ও ঠিক চলে না। তাই ঘড়ি সবসময় সঠিক সময়ে রাখুন।


দেওয়ালে ঘড়ি রাখার জন্য উত্তম দিক হল উত্তর। উত্তর দিককে সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবতা কুবেরের দিক বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, ঘড়ির কাঁটা এই দিকে রাখলে পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অসুবিধা দূর হয়। যদি কোনও কারণে আপনি বাড়ির উত্তর দিকে ঘড়ি রাখতে না পারেন তবে এটি পূর্ব দিকে রাখুন। পূর্ব দিকে ঘড়ি রাখলে ঘরে ধন-সম্পদ আসে।


দেওয়ালের দক্ষিণ দিকে ঘড়ি লাগানো এড়ানো উচিত। এই দিকটি যমের দিক বলে মনে করা হয়। তাই এটি শুভ বলে বিবেচিত হয় না এবং মৃত্যুর অধিপতি যম দ্বারা শাসিত হয়। 


বাড়িতে পেণ্ডুলাম রাখা ভাল বলে মনে করা হয়। বাস্তু মতে, এই ধরনের ঘড়ি ঘরে উন্নতি আনে। বৃত্তাকার ঘড়ি বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বাড়ায়।