Vinegar Use: রান্না করার সময় ভিনিগার অনেকেই ব্যবহার করেন। বিশেষ করে চিনা পদ রান্না করলে ভিনিগার দিতেই হবে। তবে রান্নায় ব্যবহার ছাড়াও ভিনিগারের আরও অনেক গুণ রয়েছে। সেগুলি কী কী, দেখে নিন।
- আরশোলা এবং পিঁপড়ের উপদ্রব প্রায় সব বাড়িতেই দেখা যায়। এই দুই কীট-পতঙ্গের থেকে রেহাই পেতে চাইলে জানলা, দরজার গোড়ায় ভিনিগার ছিটিয়ে রাখতে পারেন।
- ঠান্ডা লাগলে গলায় ব্যথা প্রায় সকলেরই হয়। ইনফেকশন মারাত্মক আকার ধারণ করলে গলা ফুলে যেতে পারে। ঢোঁক গিললে জ্বালা করে। এইসব সমস্যা দূর হবে যদি সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে গার্গল করেন তাহলে।
- যেকোনও ধরনের ভিনিগার দিয়ে আপনি চুল ধুতে পারেন। আর কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। জলের সঙ্গে মিশিয়ে আগাতে হবে। এর ফলে চুল হবে মসৃণ এবং উজ্জ্বল।
- যাঁদের বাড়িতে কাচের জানলা রয়েছে তাঁরাই জানেন এটা পরিষ্কার ঝকঝকে রাখা বেশ ঝক্কির কাজ। কাচের জানলা পরিষ্কার করতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে ভিনিগার মেশানো জল।
- জুতো এবং মোজায় গন্ধ হওয়া সাংঘাতিক বাজে ব্যাপার। অনেক সময়ে আপনার পায়েও বিকট গন্ধ হতে পারে। হাল্কা গরম জলে ভিনিগার মিশিয়ে ভালভাবে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলে আর গন্ধ থাকবে না। ব্যাকটেরিয়াও জন্মাবে না।
- বাথরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই জরুরি। বাথরুমের মেঝেতে কালচে দাগ ধরে যায় সহজে। এই দাগ দ্রুত দূর করে ভিনিগার। বেসিন, রান্নাঘরের সিঙ্ক, বাথরুম এবং রান্নাঘরের টাইলসও ঝকঝকে হয়ে যাবে এই ভিনিগারের গুণেই। দূর হবে জীবাণুও।
- কাপড়ে কোনও দাগ বসে গেলে, তা সহজে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন ভিনিগার। জলে ভিনিগার মিশিয়ে দাগের অংশে লাগিয়ে দিতে হবে। তাহলেই ওই দাগ দূর হবে।
- আজকাল শাকসবজি, ফল সবের গায়েই থাকে রং, রাসায়নিক উপকরণ, ব্যাকটেরিয়া। জলে ভিনিগার মিশিয়ে বাজার থেকে আনা ফল, সবজি ধুলে দূর হবে ব্যাকটেরিয়া। পরিষ্কারও হবে ভালভাবে।
- বাসনের পোড়া দাগ ঝটপট তুলে ফেলে ভিনিগারের সামান্য ছোঁয়া। অতএব বাসন যেদিন বেশি পুড়ে যাবে, অল্প ভিনিগার দিয়ে মেজে দেখুন। বাসন থাকবে একদম চকচকে।
- রান্নাঘরে খুব সহজে নোংরা-দাগ জমে যায়। রান্নার জেরে তেল, কালি পড়ে। এইসব দাগ রান্নাঘর থেকে দূর করতে ভিনিগার ব্যবহার করে মুছতে হবে।