ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : যেকোনও ভাইরাস ঘটিত জ্বরের পরই, গায়ে হাতে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে? কখনও কখনও তা এক মাসের বেশি সময় ধরে থাকছে? চিন্তা করবেন না। চলতি কথায় এই যন্ত্রণার নাম, ভাইরাল আর্থ্রাইটিস। চিকিত্সকরা বলছেন, এই যন্ত্রণা দীর্ঘস্থায়ী নয়।
কখনও ডেঙ্গি, কখনও ইনফ্লুয়েঞ্জা, কখনও চিকুনগুনিয়া, কখনও আবার করোনা, এক এক উপসর্গ নিয়ে মানব শরীরে হানা দেয় এই সব অসুখ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পরই, একটা উপসর্গ কমন।
- গায়ে হাতে প্রচণ্ড ব্যথা।
- গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা।
- কোমরে ব্যথা।
ভাইরাসের সংক্রমণ হলেই, শরীরে দেখা দিচ্ছে এই ব্যথা-যন্ত্রণার সমস্যা। কখনও তা থাকছে ১ মাস, কখনও ২ মাস, কখনও আবার তা ৬ মাসও থাকছে। চলতি ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে, ভাইরাল আর্থ্রাইটিস। বর্তমানে, অনেকেই ভুগছেন এই যন্ত্রণা-রোগে।
চিকিত্সক অতনু পাল জানাচ্ছেন, '২০১১, ১৪ সালে প্রচুর এমন কেস হয়েছিল। কোভিডের পরবর্তী সময়ে আর্থারাইটিস আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বশি। কোভিডও তো ভাইরাস। প্রচুর ডেঙ্গি হচ্ছে। তাই এই সব ভাইরাল অসুখের পর এই সব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। '
বহু রোগী জ্বর সেরে গেলে বহুদিন অবধি থেকে যাচ্ছে। তাহলে কি আর্থারাইটিস থেকে গেল? প্রকৃত আর্থারাইটিস নয়। চিকিত্সকরা বলছেন, ভাইরাল আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস কিম্বা রিউমেটিক আর্থ্রাইটিসের থেকে পুরোপুরি আলাদা।
ভাইরাল আর্থ্রাইটিস কোনও দীর্ঘকালীন ব্যাধি নয়। ভাইরাস-ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরই সাধারণত এইধরণের ব্যথা-যন্ত্রণা হয়ে থাকে।
তাই এটা নিয়ে আতঙ্ক বা ভয়ের কিছুই নেই। ' নিজে থেকে সেরে যায়। সেল্ফ লিমিটিং। ক্রনিক নয়। ' ভয় না পাওয়ার পরামর্শ চিকিত্সক অজয় সরকারের।
ঠিক কী কী ভাইরাল অসুখ থেকে হতে পারে ভাইরাল আর্থ্রাইটিস? চিকিত্সকরা বলছেন,
- করোনা
- চিকুনগুনিয়া
- ডেঙ্গি
- হেপাটাইটিস বি
- হেপাটাইটিস সি
- মাম্পস
- জিকা
প্রভৃতি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, ভাইরাল আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণার সম্ভাবনা থাকে।
অন্যদিকে, হঠাৎ করে বেড়েছে হাম ও রুবেলার প্রকোপ। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর কেন্দ্র। ২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনেসন করতে হবে। তৈরি করতে হবে টাস্কফোর্স। রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তৎপর কলকাতা পুরসভাও। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে এক মাস, হাম ও রুবেলার ভ্যাকসিনেশনের বিশেষ কর্মসূচি শুরু হবে। স্কুলগুলির পাশাপাশি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পাড়ায় পাড়ায় টিকাকরণ কেন্দ্র চালু হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের নীচে, সব ছেলেমেয়েদের হাম ও রুবেলার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগে ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলেও এই কর্মসূচিতে ফের ভ্যাকসিন নিতে হবে।