Regular Walking Health Benefits: প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস (Daily Walking Habit) থাকলে বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হবেন আপনি। একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর হবে অল্প দিনের মধ্যে। সুস্থ সবল (Walking Benefits) থাকার অন্যতম চাবিকাঠি হল নিয়মিত হাঁটাচলার অভ্যাস বজায় রাখে। সব বয়সীরাই হাঁটাচলার নিয়মিত অভ্যাস রাখলে একাধিক ভাবে উপকার পাবেন। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর হবে। নিয়মিত হাঁটাচলার অভ্যাস বজায় রাখার অর্থ কিন্তু নিজের স্বাভাবিক গতির থেকে বেশি গতিতে হাঁটা নয়। যে গতিতে আপনার শরীর স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে সেই গতিতেই হাঁটাচলা করা উচিত। সব বয়সীরাই নিয়ম করে হাঁটতে পারেন। কিন্তু যাঁরা ক্রমশ বার্ধক্যের দিকে এগোচ্ছেন কিংবা মাঝ-বয়স পার করে ফেলেছেন তাঁরা একটু ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিলে ভাল। অজান্তে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। 


চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস থাকলে আপনি কী কী ভাবে উপকৃত হবেন এবং আপনার স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এই হাঁটার অভ্যাস কীভাবে কাজে লাগে।



  • ওজন কমানোর, অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হয় নিয়ম করে হাঁটা। আপনি ভোরবেলা হাঁটতে পারেন। অথবা বিকেলের দিকে কিংবা রাতে হাঁটাচলার অভ্যাস করতে পারেন। যে সময়ের আবহাওয়া আরামদায়ক সেই সময়ে হাঁটতে যাওয়া ভাল। নিজেকে কষ্ট দিয়ে ক্যালোরি ঝরানোর কোনও অর্থ নেই।

  • খাবার খাওয়ার পরেই হাঁটাচলা করা ঠিক নয়। আবার অনেকটা হেঁটে এসে সঙ্গে সঙ্গেই ভারী খাবার খেতে যাবেন না। আবার একদম খালি পেটে হাঁটতে যাওয়া উচিত নয়। যাঁরা বাড়ির বাইরে হাঁটতে বেরোবেন তাঁরা সঙ্গে অবশ্যই পানীয় জল রাখবেন। হাঁপয়ে গেলে সবার আগে জল খাওয়ার প্রয়োজন। তাহলে স্বস্তি পাওয়া যায়।

  • অনেকের ক্ষেত্রেই বিশেষ করে যাঁদের বয়স একটু বেশি তাঁদের ক্ষেত্রে গাঁটের যন্ত্রণা লক্ষ্য করা যায়। মূলত শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট অংশে ব্যথা অনুভূত হয়। নিয়মিত হাঁটাচলার অভ্যাস বজায় থাকলে আপনার শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট অংশ শিথিল থাকবে এবং ব্যথা হবে না।

  • প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট, খুব বেশি হলে ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করলেই যথেষ্ট। হাঁটার সময় ভাল জুতো পরা প্রয়োজন। আর চেষ্টা করবেন ভাল রাস্তায় হাঁটতে। নাহলে পায়ের উপর জোর পড়বে। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

  • নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস থাকলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুদৃঢ় হবে। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভাল ভাবে সম্পন্ন হবে।

  • হাঁটাচলার মাধ্যমে যেহেতু পায়ের একসারসাইজ সবচেয়ে ভালভাবে হয়, তাই পায়ের পেশীগুলি মজবুত হবে। সমান রাস্তায় হাঁটার চেষ্টা করবেন। তাহলে পায়ে চোট, আঘাত কিংবা পেশীতে টান ধরার মতো সমস্যা দেখা যাবে না।

  • হাঁটাচলার নিয়মিত অভ্যাস থাকলে সেরোটোনিন এবং এন্ডরফিনের সঠিক মাত্রায় ক্ষরণ হয়। আমাদের শরীরের এই দুই হরমোন মনমেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন- ত্বকের কালচে দাগছোপ, বলিরেখা এবং আরও হাজারো সমস্যা দূর করতে কী কী শাকসবজি খাবেন?