Sleep Hygiene: সারাদিনে বিভিন্ন কাজ করার সময় আমরা হাইজিন (Hygiene) মেনে চলি। এই হাইজিন কথার আক্ষরিক অর্থ হল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। অথচ অনেকেরই হয়তো জানা নেই যে 'স্লিপ হাইজিন' (Sleep Hygiene) বলেও একটা বিষয় রয়েছে। অর্থাৎ ঘুমের সময় আমরা কী নিয়ম মেনে চলছি সেদিকেও নজর দেওয়া দরকার। কারণ এর মাধ্যমেই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সম্ভব। আর ঘুমের সময়ে কোনও ব্যাঘাতও হবে না। বিশেষ করে রাতে ঘুমের সময় কিছু স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন মেনে চলা দরকার। কারণ আপনার এইসব আচরণের ফলেই সারারাত ভালভাবে ঘুমোতে পারবেন আপনি, যাকে বলে একদম 'সাউন্ড স্লিপ'। ভালভাবে ঘুম না হলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয় আমাদের শরীরে। সবার আগে যেটা হবে, পরের দিন কাজ করার শক্তিই পাবেন না আপনি। তাই রাতে ভালভাবে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে অতি অবশ্যই। সকালবেলায় শরীরচর্চা করলেও রাতে ভাল ঘুম হয়, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের অনেকের। 


স্লিপ হাইজিন বজায় রাখার জন্য কী কী নিয়ম মেনে চলা জরুরি



  • প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে রাতে। তাহলেই আপনি পরের দিনে কাজ করার এনার্জি পাবেন। নাহলে সারাদিন ঝিমানি ভাব থাকবে। এছাড়াও যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের থেকে বঞ্চিত থাকেন, তাহলে স্ট্রেসের পরিমাণ বাড়বে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে। এছাড়াও দেখা দেবে একাধিক সমস্যা। অসুস্থ হয়ে পড়বেন আপনি।

  • কতক্ষণ ঘুমোচ্ছেন এটার সঙ্গে ভীষণভাবে প্রয়োজনীয় বিষয় হল আপনি কখন ঘুমোতে যাচ্ছেন। একদিন ১১টায় ঘুমোতে গেলেন, আর পরের দিন রাত ২টোয়, এমনটা করলে চলবে না। প্রতিদিন মোটামুটি একই সময়ে ঘুমোতে যেতে হবে। সামান্য সময়ের হেরফের হতেই পারে। কিন্তু একদিন তাড়াতাড়ি আর একদিন দেরিতে, এভাবে ঘুমোলে হবে না। কারণ এভাবে সময়ের হেরফের হলে তারপর যদি আপনি ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানও, তাহলেও লাভ নেই।

  • রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস থেকে দূরে থাকুন। ফোনে গান শোনা, সিনেমা দেখা, ইন্টারনেট সার্ফ করা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটা- সবই আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তার চেয়ে বরং ভাল কোনও বই পড়তে পারেন।

  • যাঁদের রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে এবং সেই সমস্যা এড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা রাতের খাওয়া-দাওয়ার দিকেও নজর রাখুন। ভারী খাবার অর্থাৎ যা সহজে হজম হয় না, সেগুলি না খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তেলমশলা যুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, গ্যাস ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমোতে যাওয়ার ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও রাতের দিকে চা-কফি অর্থাৎ ক্যাফাইন জাতীয় খাবার খাওয়ার থেকে বিরত থাকুন। 


আরও পড়ুন- শীতের মরশুমে নারকেল তেল দিয়ে কেন ত্বকের পরিচর্যা করবেন? কারা ব্যবহার করবেন না এই উপকরণ?