কলকাতা: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই সকালে বা ভোরে হাঁটেন (Walking)। ভোরের প্রথম আলো ইতিবাচক মনোভাবের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু একইভাবে বিকেলে বা সন্ধের দিকে হাঁটা যেতে পারে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা, ওজন ঝরানোর মতো একাধিক উপকারিতা রয়েছে। শুধুই শারীরিক দিক থেকেই নয়, পরন্ত বিকেলে হাঁটলে মন ভাল হতে পারে। মানসিক চাপ দূর হতে পারে। বিশুদ্ধ বাতাস এবং প্রাকৃতিক আলো ঘুমের জন্যও উপকারী।                      


জেনে নেওয়া যাক বিকেলে হাঁটার আর কী কী উপকার রয়েছে?



  • হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজের জন্য হাঁটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা হার্টকে ভাল রাখে। যা শুধু হার্টের কোনও রোগের আশঙ্কা কমায় না পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা ঠিক রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কোনও বয়সের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য। পা ব্যথার মতো সমস্যা না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা যায়।                   

  • মানসিক চাপ দূরে রাখে: প্রতিদিনের জীবনের মধ্যে হাঁটার জন্য আলাদা সময় বের করতে পারলে অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় মানসিক চাপ দূর হয়েছে। স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমানো জন্য নিয়ম করে দিনে কিছুক্ষণ হাঁটা যায়। 

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ক্যালোরি ঝরানো, মেটাবলিজম বাড়ানোর ক্ষেত্রে হাঁটার বিকল্প কিছু নেই। পেশীর গঠন তৈরি, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে হাঁটা। শরীরচর্চা না করেও হাঁটার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শুধুই হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা বা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাই নয়। নিয়ম করে হাঁটলে, অনেক রোগও থাকবে দূরে। তাতে শরীর সুস্থ থাকবে। যাঁর নিয়মিত হাঁটেন অনেকের তুলনায় তাঁদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বেশি।

  • ঘুমের জন্য উপকারী: শরীর সুস্থ রাখতে ঘুম ঠিক মতো হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম ঠিক না হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাঁটলে ঘুমের ঘাটতি মিটতে পারে। অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটলে ঠিক মতো ঘুম হবে রাতে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


 


আরও পড়ুন: Health Tips for This Summer: বৈশাখের শুরুতেই দারুণ দহন, সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না, জানালেন চিকিৎসকরা