World Stroke Day 2021:  ভয়াবহ হারে বাড়ছে স্ট্রোকের প্রবণতা। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য দ্রুত ধরাও পড়ছে স্ট্রোকের মতো অসুখ। তাই সংখ্যাটা বাড়ছে তরতরিয়ে। প্রবল মানসিক চাপ, বসে-বসে কাজ, আর এলাহি অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া আর জীবনশৈলি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে বাড়ছে এই মারণ ব্যাধি। তবে কিছু ক্ষেত্রে, আগে থেকে সতর্কতা অর্জন রুখতে পারে ভয়াবহতা।  মনে রাখতে হবে - 



  • হাইপার টেনশন বা হাই ব্লাড প্রেসারের  প্রবণতা স্ট্রোকের অন্যতম কারণ

  •  ধূমপান বা অতিরিক্ত মদ্যপান উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়ায়

  •  ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় বেশি খাওয়াও রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, যা স্ট্রোকের অনুঘটক।

  •  ব্লাড প্রেসার কিন্তু মাসে একবার নয়, দিনে ২-৩ বার বাড়িতেই মাপতে হবে। খাতায় নোট রাখতে হবে। ডাক্তারবাবুকে BP-র তালিকা জানাতে হবে। 

  •  কোলেস্টেরল আর লিপিড প্রোফাইল মাপতে হবে বছরে বার দুয়েক তো বটেই।

  • মাদক সেবনে স্ট্রোকের প্রবণতা বাড়ে।

  •  অতিরুক্ত মেদ জমতে দেওয়া যাবে না শরীরে। জাঙ্ক ফুড খাওয়া কমাতে হবে।

  •  রোজ আধঘণ্টা হাঁটাচলা করতেই হবে

     আপনার পরিবারে কি স্ট্রোকের ইতিহাস আছে ? তাহলে সাবধান !

  • পূর্বপুরুষদের স্ট্রোক হয়ে থাকলে কম বয়স থেকেই সতর্ক হতে হবে।

  •  জানতে হবে,  পরিবারের অন্যদের স্ট্রোক হয়েছিল কেন।  সেই কারণটি জানা থাকলে আগে থেকে চিকিৎসা করা যেতে পারে ।

  •  কোনও উপসর্গকেই অবহেলা করা যাবে না। মাইল্ড স্ট্রোক হলেও তার চিকিৎসা করতেই হবে।

  •  হাইপারটেনশন থাকলে  বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে কম বয়স থেকেই।

  •  ব্লাড সুগার ধরা পড়লে সতর্কতা বাড়তে হবে ।

  •  উচ্চ রক্তচাপের রোগী না হলে যে স্ট্রোক হতে পারে না, এমন ভেবে নেওয়ার কারণ নেই। পরিবারে স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে সতর্ক থাকতেই হবে । 

    পরিবারে  স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে, কিছু কিছু আগেভাগে পরীক্ষা করিয়ে নিলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকা যায়। সময় থাকতে চিকিৎসা করিয়ে খানিকটা নিরাপদ থাকা যায়। নিয়মিত নজরে রাখতে হবে - 

  • ব্লাড প্রেসার 

  • লিপিড প্রোফাইল

  • সিআরপি

  •  ইসিজি 

    এই পরীক্ষাগুলি ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের নিয়ম করে বছরে ১-২ বার করানো প্রয়োজন। তাহলে বংশগত ভাবেও স্ট্রোকের সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।