LIVE UPDATE নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি ১২৪-৯৯ ভোটে খারিজ রাজ্যসভায়
লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার দৌলতে এই বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে শাসক বিজেপি। কিন্তু, বুধবারই, গেরুয়া শিবিরের সিটমাস টেস্ট।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
11 Dec 2019 08:10 PM
শেষ পর্যন্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব খারিজ। রাজ্যসভায় বিতর্কের শেষে সেটি সিলেক্ট কমিটিকে পাঠানো হবে কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেখানে ১২৪-৯৯ ভোটে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি নাকচ হয়ে যায়। এবার বিলের ওপর ভোটাভুটি হবে।
জবাবি ভাষণে অমিত শাহ কংগ্রেসি সাংসদদের সঙ্গে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মতো সেদেশের রাজনৈতিক নেতাদের কথাবার্তার তুলনা টানায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সদস্যরা। বলেন, জানি না, কী করে এমনটা হয়। কংগ্রেসি সাংসদরা যা বলেন, তারই প্রতিধ্বনি করেন ইমরান খান। তাঁর মন্তব্যে ক্ষোভ জানান বিরোধী সাংসদরা।
কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, ইউপিএ আমলে শুধুমাত্র দুটি ধর্মের লোকজনই উপকৃত হয়েছেন। ইউপিএ-র সময় তত্কালীন রাজস্থান সরকার সেসময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে চিঠি লিখে পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের বিরাটসংখ্যক উদ্বাস্তুদের বকেয়া সমস্যা সমাধানের কথা বলেছিল। তাতে শুধুমাত্র ওই দুটি সম্প্রদায়ের ১৩০০০ মানুষ উপকৃত হয়েছিলেন। সেখানে আমরা তো ৬টি ধর্মের শরণার্থীদের সামিল করেছি। কিন্তু সে বেলায় কেউ কিছু বলবে না কেননা কংগ্রেস যা-ই করে, সেটা ধর্মনিরপেক্ষতা। এভাবে কতদিন মানুষকে বোকা বানাবো হবে?
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের পরিধির বাইরে রাখা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে শাহ বলেন, কেন রোহিঙ্গাদের বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, প্রশ্ন উঠছে। রোহিঙ্গারা কিন্তু সরাসরি ভারতে আসেনি, তারা প্রথমে বাংলাদেশে যায়, সেখান থেকে ভারতে ঢোকে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিবসেনাকেও খোঁচা দেন বিল নিয়ে অবস্থান বদলানোয়। বলেন, কী করে একটা দল ক্ষমতার লোভে রাতারাতি অবস্থান বদলাতে পারে, এটা বিস্ময়কর। মহারাষ্ট্রের মানুষও এটা জানতে চান। বিলের বিরুদ্ধে কেউ ভোট দিলেই তাকে দেশবিরোধী বলা হবে, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের এই দাবিও খারিজ করেন তিনি।
কেন পাকিস্তান মহম্মদ আলি জিন্নাহর দেশভাগের দাবি মেনে নিয়েছিল, রাজ্যসভায় বললেন অমিত শাহ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ওপর রাজ্যসভায় বিতর্কের পর জবাবি ভাষণে তিনি বলেন, সাভারকর দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন কি করেননি, তিনি সেই বিতর্কে ঢুকতে চান না। কিন্তু কংগ্রেস কেন জিন্নাহর দাবি মেনেছিল। বিবেকানন্দকে মানলে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল স্বাগত জানানো উচিত।
রাজ্যসভায় অমিত শাহের জবাবি ভাষণের মধ্যেই তুমুল শোরগোল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ২০০৫ সালে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশে আপত্তি জানিয়ে করা মন্তব্যের উল্লেখ করলে আপত্তি জানান তৃণমূলের দু্ই সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও ডেরেক ওব্রায়েন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। চেয়ারপার্সন বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে পয়েন্ট অব অর্ডার তোলা নিয়ে তর্কাতর্কি হয় তাঁদের। নাইডু তাঁদের সাবধান করে বলেন, আপনারা শৃঙ্খলা না মানলে আমি মন্ত্রীকে ভাষণ শেষ করতে বলে বিলটি ভোটাভুটির জন্য তুলতে বাধ্য হব।
ত্রিপুরায় মোতায়েন করা হল ২ কলাম সেনা।
অসমের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও মোতায়েন হতে পারে সেনা। প্রস্তুত আরও ২ কলাম সেনা।
অসমের ১০টি জেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ হল ইন্টারনেট পরিষেবা।
‘৬টি ধর্মকে নিয়ে আসার জন্য কোনও প্রশংসা নেই। কিন্তু কেন নেই মুসলিমদের প্রসঙ্গ, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে’, বললেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ বললেন:
‘মোদি সরকারের এই বিল আসার পর শরণার্থীরা ভরসা পাবে। শ্রীলঙ্কা থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের কেন নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি? বেছে বেছে কেন হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি ?’ প্রশ্ন তুললেন অমিত শাহ।
ত্রিপুরার পর এবার অসমেও বন্ধ মোবাইল, ইন্টারনেট। সন্ধে ৭ টা থেকে বন্ধ মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। অসমের ১০ জেলায় বন্ধ হচ্ছে পরিষেবা।
২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা
অমিত শাহ বললেন -
‘সংখ্যালঘুদের যথেষ্ট মর্যাদা দিয়েছে ভারত। অন্য দেশ সংখ্যালঘুদের এই মর্যাদা দেয়নি। অন্য দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়েই ভারতে অনুপ্রবেশ। ’
অমিত শাহ বললেন,
‘কিছু সাংসদ এই বিলকে অসাংবিধানিক বলেছেন। বিলের নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। আগের সরকার এই সমস্যার কোনও সমাধান করেনি। দেশকে সঠিক পথে নিয়ে যেতেই মোদি সরকার বদ্ধপরিকর’
‘দেশভাগ না হলে এই বিল আনার প্রয়োজনীয়তা ছিল না’, রাজ্যসভায় বললেন অমিত শাহ।
নাগরিক সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ অসমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০ কোম্পানি সিআরপিএফ বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীর থেকে এই কোম্পানিকে এয়ার-লিফট করিয়ে অসমে পাঠানো হচ্ছে। ৩৭০ ধারা বিলোপের সময় এই কোম্পানিগুলিকে উপত্যকায় মোতায়েন করা হয়েছিল। সেখান থেকে ২০ কোম্পানিকে তুলে নিয়ে অসমে পাঠানো হচ্ছে।
শুধু অসম নয়। বিলের প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে ইতিমধ্যেই সেখানে আরও ৩০ কোম্পানি (প্রায় তিন হাজার) আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি প্রশাসন। এই বাহিনীকে আনা হল অন্যান্য প্রান্ত থেকে। এর মধ্যে রয়েছে সিআরপিএফ, বিএসএফ ও এসএসবি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আজও উত্তাল উত্তর-পূর্বাঞ্চল। গুয়াহাটিতে সচিবালয়ের বাইরে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ থামাতে ছোড়া হল রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল। মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফ-র্যাফ। এর আগে গুয়াহাটির খানাপাড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে কলেজ পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ৩৭ নং জাতীয় সড়ক। ডিব্রুগড়ে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। এখানেও লাঠিচার্জ করে পুলিশ
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আজও উত্তাল উত্তর-পূর্বাঞ্চল। অসম-ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ। গুয়াহাটির খানাপাড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ কলেজ পড়ুয়াদের। বিক্ষোভ হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফ ও RAF। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ৩৭ নং জাতীয় সড়ক। ডিব্রুগড়ে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। এখানেও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিলের প্রতিবাদে ত্রিপুরাতেও চলছে বিক্ষোভ ও মিছিল।
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশের সময় চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর নির্দেশে সরাসরি সম্প্রচার ক্ষণিক সময়ের জন্য বন্ধ ছিল।
ঘটনায় প্রকাশ, এদিন বিল নিয়ে বক্তব্য পেশ করছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি যখন বলেন, এই বিলের মাধ্যমে অসমবাসীদের স্বার্থরক্ষা করবে বিজেপি সরকার, তখন বিরোধী শিবিরের কয়েকজন সাংসদ তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন।
বিরোধীদের সতর্ক করে নাইডু জানিয়ে দেন, তাঁরা যেন সংযত হন না হলে তিনি হেনস্থাকারীদের নাম ধরে ডাকতে বাধ্য হবেন। অর্থাৎ, গোটা দিনের জন্য ওই সাংসদরা কক্ষের কোনও কার্যপ্রণালীতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, বিরোধী সাংসদরা যা বলছেন, তা কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত হবে না। ঠিক সেই সময় রাজ্যসভার সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এটা তখনই হয়, যখন চেয়ারম্যান লাল বোতাম টেপেন। এর মাধ্যমে তিনি সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সম্প্রচার পুনরায় চালু হয়।
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিতর্ক। কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা বললেন: বিল পেশে এত তাড়াহুড়ো কিসের। এর ফলে আঘাতপ্রাপ্ত হবে ভারতীয় সংবিধান। এই বিল সংবিধান-গণতন্ত্রের পরিপন্থী। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিভেদমূলক। দেশবিভাগের দোষ কংগ্রেসের উপর চাপানো হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে রাজনীতিকে জোড়া হচ্ছে। ইতিহাসকে বদলানো যাবে না। দ্বিজাতি তত্ত্বের জন্ম দিয়েছিলেন সাভারকর। হিন্দু মহাসভা, মুসলিম লিগ ব্রিটিশদের সাহায্য করেছিল।
বাংলায় পঞ্চাশ-ষাট-সত্তরের দশকে অনেক শরণার্থী এসেছেন। ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেকে এসেছেন। তাঁরা যখনই এসেছেন, সেই তারিখ থেকেই নাগরিকত্ব পাবেন। তাঁদের স্বার্থ আমরা দেখব। এই শরণার্থীদের বিরুদ্ধে বৈধ নথি না থাকায় কোনও মামলা হলে, তা প্রত্যাহার করা হবে। রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী পেশের পর জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিতর্ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন: শরণার্থীরা তাঁদের অধিকার পাবেন। আমাদের পিছনে জন সমর্থন আছে। ভোটের পর রাজনীতি করছি না। ভোটের আগে আমাদের কর্মসূচিতে ছিল। পড়শি দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুরা আশ্রয় পাবেন। লাখো মানুষের সঙ্গে ধার্মিক প্রতারণা হয়েছে। ভারতবর্ষের সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত থাকবেন। ভারতে আসার দিন থেকেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন সংখ্যালঘুরা। কোনও মামলা চললে, তা প্রত্যাহৃত হবে।
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভোটাভুটির আগে স্বস্তি শাসক শিবিরে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ৪ সাংসদ পেলেন ছুটি। ফলে, ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়াল ১১৯। আজ সংসদে আসছেন না বিজেপি সাংসদ অনিল বলুনি। আসছেন না এনসিপি-র মজিদ মেমন। আসছেন না ২ নির্দল সাংসদ অমর সিংহ, বীরেন্দ্র কুমার। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী, বিলের সমর্থনে সংখ্যা রয়েছে ১২৫। বিপক্ষে ১১৩।
রাজ্যসভায় পেশ হওয়ার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের হয়ে জোরাল সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে তিনি বলেন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঐতিহাসিক। এই বিল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে মুক্তি চান, এই বিল তাঁদের স্থায়ী সুরাহা দেবে।
এছাড়া, আসন্ন বাজেট নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির থেকে নীতি-সংক্রান্ত মতামত নিয়ে তা অর্থমন্ত্রীর কাছে পেশ করতে বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী বলেন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল হল দেশের উত্তর-পূর্বকে জাতিগতভাবে খতম করতে মোদি-অমিত শাহর একটি চেষ্টা। এই বিল উত্তর-পূর্বের মানুষ, তাঁদের জীবনধারনের ওপর অপরাধমূলক হামলার সামিল। এই বিল ভারতের আইডিয়ার পরিপন্থী। আমি উত্তর-পূর্বের মানুষের সঙ্গে সহমর্মী। আমি তাঁদের পরিষেবায় প্রস্তুত।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: আজ বেলা ১২টা নাগাদ রাজ্যসভায় পেশ হবে সিটিজেন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (সিএবি) বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ইতিমধ্যেই, এই বিল ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার দৌলতে এই বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে শাসক বিজেপি। কিন্তু, বুধবারই, গেরুয়া শিবিরের সিটমাস টেস্ট। কারণ, সংসদের উচ্চকক্ষে এখনও বিরোধীদের সংখ্যা যথেষ্ট। ফলত, রাজ্যসভায় বিল পাশ করানোটাই শাসক শিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও, বিল পাশ করানোর বিষয়ে আশাবাদী বিজেপি। শাসক শিবিরের আশা, সহজেই এই বিল রাজ্যসভায় পাশ হবে।
এদিকে, লোকসভায় বিলের সমর্থন করলেও, রাজ্যসভায় তারা বিলের সমর্থন করবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ও সাসপেন্স জারি রেখেছে জেডিইউ ও শিবসেনা। এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি এই দুই দল। ফলত, এই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উৎকণ্ঠায় শাসক দল।
যদিও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র দাবি, রাজ্যসভার ২৪০ সদস্যের মধ্যে ১২৪-১৩০ ভোট তারা পাচ্ছে। উচ্চকক্ষে বিজেপির সংখ্যা ৮৩। রাজ্যসভায় বিজেপির শরিকদের মধ্যে রয়েছে এডিএমকে(১১), জেডিইউ(৬) ও অকালি দল(৩)। এছাড়া, বিজেডি(৭), ওয়াইএসআর কংগ্রেস(২) ও টিডিপি(২)-র মত আঞ্চলিক দলগুলি বিলের সমর্থন করবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, সাত নির্দল ও মনোনীত সদস্য এবং এক-সদস্য বিশিষ্ট একাধিক আঞ্চলিক দলও বিলকে সমর্থন করবে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, বিলের বিরোধিতায় সামিল থাকছে কংগ্রেস(৪৬), তৃণমূল(১৩), বিএসপি(৪), সমাজবাদী পার্টি(৯), ডিএমকে(৫), আরজেডি(৪), বাম(৬), এনসিপি(৪) ও টিআরএস(৬)। সবমিলিয়ে সংখ্যা ৯৭। এছাড়া, শিবসেনা ও আম আদমি পার্টির সমর্থন পেলে বিরোধীদের শক্তি বেড়ে হবে ১১০।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কী?
এই বিল কার্যকর হলে ধর্মীয় নিপীড়নের ফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত দেশত্যাগী অ-মুসলিম শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।