LIVE UPDATES: ‘ঠিক, ভুল মানুষকে বিচার করতে দিন’, মোদির আক্রমণের জবাব মমতার
সংসদের উভয় কক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ-আন্দোলন চলছেই।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
22 Dec 2019 05:18 PM
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের হয়ে লড়াই করছেন, নাগরিকের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন। প্রতিবাদের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন কিছু হলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেনে আনা হচ্ছে। ওরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি: মমতা দিদি সোজা কলকাতা থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু কয়েকবছর আগে তিনিই সংসদে বলতেন, অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর কথা। তিনিই বলতেন শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা। মমতা দিদি, হঠাৎ আপনার কী হল?
নরেন্দ্র মোদি: ‘হঠাৎ আপনি বদলে গেলেন কেন? বাংলার নাগরিকদের ওপর থেকে আপনার ভরসা উঠে গেল কেন? আপনি কাদের বিরোধিতা করছেন, আর কাদের সমর্থন করছেন। সেটা গোটা দেশের মানুষ দেখছেন।
কাদের বিরোধিতা করছেন, কাদের সমর্থন, দেশবাসী তা দেখছে মমতা দিদি। রামলীলা ময়দানের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা নরেন্দ্র মোদির।
কাদের বিরোধিতা করছেন, কাদের সমর্থন, দেশবাসী তা দেখছে মমতা দিদি। রামলীলা ময়দানের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা নরেন্দ্র মোদির।
নীতিন গড়করী: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কোনও মুসলিম ভারতীয়র বিরোধী নয়। এই আইন স্রেফ তিন দেশের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে। আমি আমার মুসলিম ভাইদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, তথ্য বিকৃত করে কংগ্রেস যে প্রচার চালাচ্ছে, তা বিশ্বাস করবেন না। ওরা আপনাদের কেবল ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবেই দেখে।
মেঘালয়: সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, শিলং থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে কার্ফু। নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতার আঁচ কমতেই কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে বলে খবর সংবাদসংস্থা সূত্রে। বড়দিনের আগে সেজে উঠেছে শহরের রাস্তা ঘাটও।
প্রশান্ত কিশোর: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে সওয়াল করলেন পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটিজিস্ট তথা জনতা দল ইউনাইটেডের সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর।
প্রশান্ত কিশোর: সিএএ এবং এনআরসি বিরোধিতার দুটি পন্থার কথা বলেছেন প্রশান্ত। এক, সব ধরনের মঞ্চে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এককাট্টা এবং জোড়াল প্রতিবাদ। দুই, দেশের ১৬টি অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের রাজ্যে এনআরসি-কে না বলতে হবে।
সংসদে নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আসার সময় থেকেই এর বিরোধিতা করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর দল এনডিএ শরিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি দলের মতের বাইরে গিয়ে এই বিলের প্রতিবাদ করেছেন। মতের অমিল এবং বিবাদের কারণে একটা সময় প্রশান্ত দল থেকে পদত্যাগ করার কথাও ভাবেন। জেডি(ইউ) সভাপতি নীতিশ কুমারের কাছে পদত্যাগ পত্র দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ: তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা লখনউ পরিদর্শনে আসছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাঁদের কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কারণ, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
তিনি যোগ করেন, উত্তরপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত ৮৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে
পাঁচ হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। ১৩৫টি মামলা মোট দায়ের করা হয়েছে। ২৮৮ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ১৫ জন মারা গিয়েছেন।
বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি জানান, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে, তা কিছু কায়েমী স্বার্থে চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে।
কানপুরে হিংসার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তরফে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান করা হয়েছে। গতকাল কানপুরের ইয়াতিমখানা পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সমাজবাদী পার্টি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, এই হিংসার মাধ্যমে একমাত্র সরকার লাভবান হবে। বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ঘৃনা ছড়াচ্ছে। মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করছে। কারণ, বড় ইস্যুগুলিতে তারা ডাহা ফেল করেছে।
এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে নাগপুরে বিশাল মিছিল বের হল। মিছিল আয়োজন করেছিল বিজেপি, আরএসএস, লোক অধিকার মঞ্চ এবং অন্যান্যরা। গতকালও, বিহারের মুজফ্ফরপুরে একইভাবে আইনের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়েছিল। সেখানে, বাজিও ফাটিয়ে আইন পাশ উদযাপন করা হয়।
প্রেক্ষাপট
লখনউ: সংসদের উভয় কক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ-আন্দোলন চলছেই। আইনের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভে গর্জে উঠেছে জনতা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধণ্ডযুদ্ধ দেখা গিয়েছে। অনেকে মারা গিয়েছেন। আহতের সংখ্যা বহু।
বিহারের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। একাধিক রাজনৈতিক দল কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।ঔরাঙ্গাবাদে পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। এক পুলিশকর্মী আহত হন। আরারিয়া, ভাগলপুর, সমন্তিপুর ও বৈশালী সহ একাধিক জায়গায় গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা বলে খবর মিলেছে।
আবার, দক্ষিণ ভারতেও সিএএ-প্রতিবাদ লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেরলের মলপ্পুরমে প্রতিবাদ মিছিলকে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালা। তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলিচালনা ও সাংবাদিকদের আটক করার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতার পর হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র।