LIVE UPDATE: দেশকে ভুল পথে চালিত করা কি উচিত কাজ? সিএএ নিয়ে বিরোধী দলগুলির অবস্থার দুর্ভাগ্যজনক, রাজ্যসভায় মোদি
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
06 Feb 2020 07:03 PM
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদের মন্তব্যের সমালোচনা করে মোদি বলেন, ‘গুলাম নবি আজাদজি বলেছেন, কোনও আলোচনা ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বক্তব্য ঠিক নয়। সারা দেশ দেখেছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সাংসদরা এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। মানুষ সহজে পুরনো কথা ভুলে যায় না। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে আমি তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের প্রক্রিয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। দরজা বন্ধ করে, সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে তেলঙ্গানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কয়েক দশক পর প্রথমবার জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছেন। দুর্নীতি দমন শাখাও তৈরি করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।’
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেরলের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পিছনে আছে কট্টরপন্থী দলগুলি। তিনি কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আপনারা কীভাবে দিল্লিতে এবং দেশের অন্যত্র একই ধরনের অরাজকতাকে সমর্থন করেন যার ফলে আপনাদের রাজ্যে সমস্যা হচ্ছে?’
বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি ও জনগণনা সাধারণ সরকারি প্রক্রিয়া। অতীতেও এটা হয়েছে। কিন্তু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি জরুরি মনে হওয়ায় যারা অতীতে এনপিআর করেছিল, তারাই এখন এ বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।’
বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদি আরও বলেন, ‘আপনাদের পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) নিয়ে যখন এত জ্ঞান ও পরামর্শ ছিল, তাহলে এতদিন ধরে এটি আটকে রেখেছিলেন কেন? কয়েকজন সাংসদের বক্তব্যে আমি একটু হতাশ হয়েছি। কয়েকজন সদস্য অচলাবস্থাকেই আশীর্বাদ বলে ধরে নিয়েছেন। তাঁরা পুরনো দিনেই আটকে আছেন, অতীতের কথাই বলে যাচ্ছেন। নিরাশা দেশের পক্ষে ভাল নয়। পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আলোচনার ইতিবাচক দিক হল, যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন তাঁরাও পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির কথা বলছেন। আমরা তাঁদের মানসিকতা বদলে দিয়েছি।’
এমডিএমকে প্রধান ভাইকো বলেছিলেন, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কালো দিন। তাঁকে পাল্টা জবাব দিয়ে মোদি বলেন, ‘ভাইকোজি, ওই দিনটি জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কালো দিন ছিল না, যারা সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দেয়, তাদের জন্য কালো দিন ছিল।’
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধী দলগুলির অবস্থানের সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘দেশকে বিপথে চালিত করা ও ভুল তথ্য দেওয়া কি উচিত কাজ? কেউ কি এই ধরনের প্রচারে যোগ দিতে পারে? নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে কিছু বিরোধী দল যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
এই বাজেটকে বলা হচ্ছে ঐতিহাসিক। এই বাজেট ঐতিহাসিক কারণ ১৬০ মিনিটের। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার তলানিতে। কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থ কেন্দ্র। বাজেটে কোনও দিশা নেই, তলানিতে জিডিপি। এই বাজেট হল দেশের অর্থনীতির ট্রিপল মার্ডার।
এখন কেন্দ্রীয় সরকারের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট বেচো ইন্ডিয়া। বিজেপি দেশভক্তির কথা বলছে, অন্যদিকে এলআইসি-র বিলগ্নিকরণ করছে
দেশ যদি মা হয়, তাহলে মা-কে রক্ষা করুন, নিলাম করবেন না। দেশের আর্থিক বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
‘একের পর এক সংস্থাকে বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষের উন্নতিতে কাজ করতে পারে না কেন্দ্র, অথচ আরও কর চাপানো হচ্ছে। রেলের প্রকল্পগুলির জন্য পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে প্রকল্প প্রতি মাত্র ১০০০ টাকা’।
কংগ্রেস মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। সিএএ ভারতের নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলবে না। সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না’
‘সিএএ নিয়ে কংগ্রেস নোংরা রাজনীতি করছে।
‘সিএএ নিয়ে কংগ্রেস নোংরা রাজনীতি করছে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা অনেকের থাকতেই পারে। কিন্তু কেউ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দেশকে বিভক্ত করেছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বেড়েই চলেছে। অনেকে বলছেন সিএএ গাঁধীর মতবাদ সমর্থন করে না। কংগ্রেস দলই গাঁধীর মতবাদ বহুদিন আগে থেকেই মানা বন্ধ করেছে।
৫ অগাস্ট মেহবুবা মুফতি বলেছিলেন, ভারত কাশ্মীরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সংবিধান মেনে চলা মানুষেরা এরকম কথা বলতে পারেন? ওমর আবদুল্লা বলেছিলেন, ৩৭০ ধারা বিলোপে এমন ভূমিকম্প হবে যে কাশ্মীর আলাদা হয়ে যাবে। ফারুখ আবদুল্লা বলেছিলেন, ৩৭০ ধারা বিলোপে কাশ্মীরে ভারতের পতাকা ওড়ানোর কেউ থাকবে না। আমরা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের ওপর ভরসা রেখেছি। আমার সরকারের মন্ত্রীরা বারবার কাশ্মীরে যাচ্ছেন, সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন। সংবিধান বাঁচাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
‘অনেকে বলছে সিএএ লাগু করতে এত তাড়াহুড়ো কেন? দেশকে যাঁরা টুকরো করার চেষ্টা করছে, তাঁরাই আবার তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন। ভারতের মুসলমানদের উস্কানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। কংগ্রেসের চোখে মুসলমানরা শুধুই মুসলিম, আমাদের চোখে এঁরা ভারতীয়।সিএএ নিয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা না করলে, ওঁদের আসল রূপ দেশ দেখতে পেত না’
‘অনেকে বলছে সিএএ লাগু করতে এত তাড়াহুড়ো কেন? দেশকে যাঁরা টুকরো করার চেষ্টা করছে, তাঁরাই আবার তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন। ভারতের মুসলমানদের উস্কানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। কংগ্রেসের চোখে মুসলমানরা শুধুই মুসলিম, আমাদের চোখে এঁরা ভারতীয়।সিএএ নিয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা না করলে, ওঁদের আসল রূপ দেশ দেখতে পেত না’
প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মাথায় ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ছিল। সংবিধানের মাহাত্ম্য বোঝা খুব জরুরি। সুপ্রিম কোর্ট বারবার বলেছে আন্দোলন মানে হিংসা নয়। কিন্তু বারবার আন্দোলনকারীদের উস্কে দিচ্ছে কংগ্রেস। শুধুই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে নির্দোষ মানুষের কী করুণ অবস্থা সবাই জানে। সংবিধান যদি মানত কংগ্রেস, তাহলে জম্মু-কাশ্মীরে কেন প্রয়োগ হয়নি?
শশী তারুর সংবিধান বাঁচানোর কথা বলছেন। কংগ্রেসের আমলে সংবিধান বাঁচানোর কথা মনে ছিল না। এত অন্যায় কাজ করেছে কংগ্রেস সরকার, সেইজন্যই বারবার সংবিধান বাঁচানোর কথা। মানুষের বাঁচার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস সরকার
‘কেউ বলেছিল আমার পিঠে ৬ মাসের মধ্যে ডান্ডা পড়বে। আমি ৬ মাসে এমন সূর্য প্রণাম করব যে আমার পিঠ সেই ডান্ডা সহ্য করে নেবে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ হয়নি। আগের সরকারের টার্গেট ছিল ২০০৯ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করার। কিন্তু কাজ শুধু কাগজেই আটকে ছিল, বর্তমান সরকার এই কাজ শেষ করেছে’
‘২০১৯-২০ সালে জিএসটি বাবদ আয় ১ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো বলেই বিনিয়োগ বাড়ছে। দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে শুধু গুজব ছড়ানো হচ্ছে’
পূর্বতন সরকার দেশের আর্থিক উন্নতিতে কোনও কাজ করেনি। আগের সরকারে দুর্নীতির রমরমা ছিল। এখন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, রাজস্ব ঘাটতি কমেছে
২০১৪ সালে কৃষি বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২৭০০০ কোটি টাকা ছিল। এখন কৃষকদের জন্য বাজেট বরাদ্দ ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনীতি করুন, কিন্তু কৃষক স্বার্থ নিয়ে রাজনীতি করবেন না। বহু রাজ্যে কৃষকরা যথাযোগ্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। দেশের আর্থিক উন্নতিতে দায়িত্ব সবার, কারও পরামর্শ থাকলে বলুন। কারণ সবাই জানে কাজ করলে এই সরকারই করবে।
‘৯৯ টি প্রকল্পে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচের পর কৃষকরা তার লাভ পেয়েছে। কৃষকদের জন্য বিমা প্রকল্প চালু হয়েছে। ইনাম যোজনায় কৃষকরা তার ফসল বিক্রি করে লাভ পাচ্ছে’
বড়োল্যান্ডের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বে নতুন সূর্যের উদয় হয়েছে। বিরোধীরা চশমা বদলাবে তখন তাঁরা এই উন্নয়ন দেখতে পাবেন।
‘রাজনীতির জন্য নয়, মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করা হয়েছে’
‘বিদ্যুত্, রেল, মোবাইল সংযোগের উন্নতিতে জোর দেওয়া হয়েছে’
‘সরকার পরিবর্তন হয়েছে, মেজাজও বদল হয়েছে’
‘উত্তর-পূর্বের যথেষ্ট উন্নতি করা হয়েছে’
‘উত্তর-পূর্ব ভোটের রাজনীতি করার জন্য নয়’
‘দিল্লির মানুষরা বৈধ বাসস্থানের অধিকার পেয়েছেন’
‘৪০ লক্ষ মানুষ অসুবিধায় ছিলেন’
‘দিল্লি ১৭০০-র বেশি অবৈধ কলোনি ছিল’
‘২ কোটি মানুষের ঘর বানিয়ে দিয়েছে সরকার’
‘১৩ কোটি পরিবারে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হয়েছে’
‘১১ কোটি মানুষের ঘরে শৌচালয় তৈরি হয়েছে’
‘সেইজন্যই ফের এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন মানুষ’
‘আগের ৫ বছর মানুষ দেখেছে সরকারের কাজ’
‘২৮ বছরের পুরনো বেনামি সম্পত্তি আইন এখন লাগু হত না’
‘সবাইকে নিয়ে চলে এই সরকার’
‘কোনওদিন রামমন্দির বিতর্কের মীমাংসা হত না’
‘আগের সরকারের রাস্তায় চললে কর্তারপুর-সাহিব করিডোর কখনওই হতো না’
‘তিন তালাক প্রথা কোনওদিনই বিলোপ হত না’
‘বর্তমান সরকার যদি আগের সরকারের মত চলত তাহলে ৩৭০ ধারা বিলোপ হত না’
“মানুষ শুধু সরকার বদলেছে এমনটা নয়। সার্বিক পরিবর্তনের জন্যই এই পরিবর্তন করেছে। কিন্তু আমরা যদি অতীতের মতো একই রকমভাবে চলতে শুরু করি, যেভাবে আপনারা এতদিন চলেছেন তাহলে স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও আর্টিকেল ৩৭০ রদ করা যেত না। আপনাদের পথে চললে এখনও মুসলিম বোনেরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হত”।
“সংসদে উপস্থিত সভ্যরা নিজেদের মতো করে তাঁদের মত রেখেছেন। অধীর রঞ্জন চৌধুরি, শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক সৌগত রায়, শশী থারুর, আসাদউদ্দিন ওয়েসি, অখিলেশ যাদব সহ আরও অনেকে নিজেরা নিজের মতো করে বক্তব্য রেখেছেন”।
প্রেক্ষাপট
২১ শতকের তৃতীয় দশকে মাননীয় রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্য আমাদের দিশা দেখাবে। কোটি কোটি মানুষের মনে বিশ্বাস জোগাবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -