LIVE UPDATES: উন্নাওয়ের ঘটনায় মানবতা লজ্জিত,আমি ক্রুদ্ধ এবং স্তব্ধ, টুইট রাহুলের
মৃত্যুর আগে শুক্রবার মেয়েটি তাঁর দাদার কাছে বাঁচার আকুতি করেছিলেন। বলেছিলেন, আমাকে বাঁচাও, আমি মরতে চাই না, যারা আমার সঙ্গে এমন করল,তাদের ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দLast Updated: 07 Dec 2019 02:05 PM
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: দোষীদের একজনও যেন ছাড়া না পায়। দেশের কাছে শেষ আবেদন করে চোখ বুজলেন উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের গণধর্ষিতা। গতকাল রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।হাসপাতালের...More
নয়াদিল্লি: দোষীদের একজনও যেন ছাড়া না পায়। দেশের কাছে শেষ আবেদন করে চোখ বুজলেন উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের গণধর্ষিতা। গতকাল রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান শলভ কুমার বলেছেন, তাঁদের যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ওই তরুণী মারা গিয়েছেন। সন্ধে থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাত ১১টা ১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। বাঁচানোর চেষ্টা সত্ত্বেও রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।গত বছর ডিসেম্বরে গণধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছরের মেয়েটি। বৃহস্পতিবার রায় বরেলির আদালতে মামলার শুনানিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় উন্নাওয়ের সিন্দুপুর গ্রামের বাইরে ৫ জন তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়, ছুরি মারা হয়, তারপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শরীর। অভিযুক্তদের মধ্যে সেই দুজনও ছিল যারা ধর্ষণ করে তাঁকে। বাঁচার প্রবল তাড়নায় জ্বলতে জ্বলতেই ১ কিলোমিটারের বেশি ছুটে আসেন মেয়েটি। অবশেষে একজনকে দেখতে পেয়ে সাহায্য চান। ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া অবস্থায় লখনউয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি খারাপ হতে এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হয় দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে।মৃত্যুর আগে শুক্রবার মেয়েটি তাঁর দাদার কাছে বাঁচার আকুতি করেছিলেন। বলেছিলেন, আমাকে বাঁচাও, আমি মরতে চাই না, যারা আমার সঙ্গে এমন করল,তাদের ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই। এরপর ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয় তাঁকে। তাঁর বাড়ির লোক অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার না করার জন্য তাঁরা খুনের হুমকি পাচ্ছেন। উন্নাওয়ের ঘটনায় ৫ অভিযুক্তের নাম হরিশঙ্কর ত্রিবেদী, রামকিশোর ত্রিবেদী, উমেশ বাজপাই, শিবম ত্রিবেদী ও শুভম ত্রিবেদী। এরা ওই তরুণীকে বৃহস্পতিবার জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ, ৫ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মুখ্য অভিযুক্ত শুভম ত্রিবেদী, ধর্ষিতা তরুণী অভিযোগ করেন, গত বছর ডিসেম্বরে শিবম ও শুভম তাঁকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। তাদের বিরুদ্ধে মার্চ মাসে পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি। তারপর থেকে জেলে ছিল শুভম, ৩০ নভেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসে। শুরু করে অভিযোগকারিণীকে অনুসরণ করা ও হুমকি দেওয়া। ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের লোক সিন্দুপুরের কাছে বিহার পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অসংখ্যবার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কর্ণপাত করেনি পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবারের ঘটনা।
অবশেষে উন্নাও কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন যোগী আদিত্যনাথ। তরুণীর মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, মৃতের পরিবারের প্রতি তাঁর পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে।মামলা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে নিয়ে গিয়ে অপরাধীদের কঠোর সাজা দেওয়া হবে।
হায়দরাবাদের মত অপরাধীদের এনকাউন্টার চাইলেন মৃতের বাবা। তাঁর দাবি, এদের দৌড় করিয়ে গুলি করা হোক বা ফাঁসিতে চড়ানো হোক। প্রশাসন তাঁকে তাঁর মেয়ের মৃত্যুর খবর দেয়নি, অভিযুক্তরা তাঁদেরও প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে।