LIVE UPDATES: মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন, বিজেপি সরকার গড়ার চেষ্টা করছে, জানালেন নারায়ণ রানে
রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়া বিজেপি এই মূহূর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল কোর গ্রুপের বৈঠক ডাকে তারা।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
12 Nov 2019 09:31 PM
এদিকে বিজেপির সঙ্গে আগামী দিনে ফের বোঝাপড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না শিবসেনা। বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠনের রাস্তা কি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল, প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, এত তাড়াহুড়োর কী আছে? এর নাম রাজনীতি। ৬ মাসের সময় তো আছে(রাষ্ট্রপতি শাসন)। আমি বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার রাস্তা শেষ করে দিইনি। বিজেপি নিজেই তো সেটা করেছে।
মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পর বিবৃতি দিয়ে দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ বললেন, রাষ্ট্রপতি শাসন দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার, কিন্তু আশা করা যায়, মহারাষ্ট্রে শীঘ্রই স্থায়ী সরকার কায়েম হবে। মহারাষ্ট্র বিজেপি নেতা নারায়ণ রানে বলেছেন, বিজেপি সরকার গঠনের চেষ্টা করবে। এই লক্ষ্যে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফঢ়নবিশ। এনসিপি-কংগ্রেস শিবসেনাকে বোকা বানাতে চাইছে বলে মনে হয়।
পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন, বিজেপি-শিবসেনা বহু বছর একসঙ্গে ঘর করেছে। কিন্তু শিবসেনাকে এখন কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে যেতে হচ্ছে। আমরা ওদের উভয়ের সঙ্গেই কথা বলব। অরবিন্দ সাওন্তকে ধন্যবাদ দিতে চাই। অনেকেরই মন্ত্রিত্বের লোভ থাকে, কিন্তু তিনি ওরকম নন। ওঁর জন্য গর্ব হয়। পাশাপাশি উদ্ধব রাজ্যপালের সমালোচনা করেও বলেন, গতকাল আমরা সরকার গড়তে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেস, এনসিপি-র সমর্থন চেয়ে অনুরোধ করি। আমরা ৪৮ ঘন্টা সময় চেয়েছিলাম, কিন্তু রাজ্যপাল দিলেন না।
কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপি সবাইকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও কংগ্রেস ডাক পায়নি। আমরা এর নিন্দা করছি। আগে আমরা শরিক এনসিপির সঙ্গে কথা বলব। তারপর কথা হবে শিবসেনার সঙ্গে।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না কংগ্রেস, এনসিপি। দুজনের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল জানান, পরিস্থিতি নিয়ে দুদলের আলোচনা চলছে, শীঘ্রই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন তাঁরা। সাংবাদিক সম্মেলনে এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ার, শীর্ষ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, এনসিপি নেতা প্রফুল পটেল ও দুদলের অন্য নেতারাও ছিলেন। সূত্রের খবর, শিবসেনার সঙ্গে সমঝোতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ইস্যুতে উদ্ধব ঠাকরের দলের অবস্থানে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে মনে করে কংগ্রেস চাইছে, রাজ্যে নতুন জোট সমীকরণ গড়ে তুলতে গেলে আগে একটি অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি (সিএমপি) স্থির করতে হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তারা আগে শরিক এনসিপির সঙ্গে ঐকমত্য চাইছে, তারপর সমর্থনের প্রশ্নে শিবসেনার সঙ্গে কথা হবে। জোট ও অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলতে আজ বিকালে দ্রুত মুম্বই আসেন আহমেদ পটেল, খাড়্গে ও কে সি বেনুগোপালের মতো শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা।
মহারাষ্ট্রে অবশেষে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। রাজ্যপালের সুপারিশে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
সরকার গঠনের দাবি পেশ করতে তাদের অতিরিক্ত সময় দিতে চাননি রাজ্যপাল। এর বিরুদ্ধে সু্প্রিম কোর্টে গেল শিবসেনা
রাজ্যপালের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে মত দিল। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে অচলাবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেও রাজ্যপালের সুপারিশে সিলমোহর পড়ে। রাজ্যপাল কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস-চার শিবিরের কেউই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে পারেনি। বিজেপি আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি নিয়ে শিবসেনার সঙ্গে সংঘাতের জেরে সরকার গঠনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
যদিও রাজভবন সূত্রে রাজ্যপালের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশের খবর অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে শিবসেনা সু্প্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে এ নিয়ে কংগ্রেসের দুই নেতা কপিল সিবল ও আহমেদ পটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ট্যুইট করেছেন, এনসিপি-কে দেওয়া সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কী করে মাননীয় রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করতে পারেন?
মহারাষ্ট্র কি শেষপর্যন্ত রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই এগচ্ছে? ঘটনার গতিপ্রকৃতি থেকে তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষ্যে ব্রাজিল রওনা হওয়ার আগে ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকলেন, যা নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক জল্পনা চলছে।
হল না কংগ্রেস কোর গ্রুপের বৈঠক, সনিয়া গাঁধীর বাসভবনে কংগ্রেসের কোনও নেতা এলেন না।
মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে বিবাদ এখনও থামল না। জানা যাচ্ছে, এনসিপি-শিবসেনার মধ্যে এখন মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ঝামেলা লেগেছে। এনসিপি বলেছে, যদি তারা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শিবসেনাকে সরকার গড়তে সাহায্য করে, তাহলেও টানা ৫ বছরের জন্য সেনা মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাবে না। জোটসঙ্গীদের জন্য রোটেশনাল ফর্মুলা চালু করতে হবে।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক চলছে, ১১টায় বৈঠক এনসিপি বিধায়কদের।
প্রেক্ষাপট
মুম্বই: মহারাষ্ট্রে কোন দল সরকার গড়বে এখনও পরিষ্কার নয়। শিবসেনা এনসিপি-কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গড়ার চেষ্টা করলেও এখনও সমর্থনের চিঠি জোগাড় করতে পারেনি। তাদের বেশি সময় দিতে নারাজ রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি এনসিপিকে সরকার গড়তে ডাক দিয়েছেন। তাদের সময়সীমা আজ রাত সাড়ে আটটা।
রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়া বিজেপি এই মূহূর্তে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল কোর গ্রুপের বৈঠক ডাকে তারা। বরিষ্ঠ নেতা সুধীর মুঙ্গান্তিবার জানিয়েছেন, অবস্থা বুঝে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। অন্যদিকে দুই শরিক কংগ্রেস ও এনসিপি শিবসেনার সাহায্যে অবিজেপি সরকার গঠন করা যায় কিনা তা নিয়ে আজ বৈঠকে বসছে। তবে মহারাষ্ট্রে অচলাবস্থা ১৮ দিনে পড়লেও কংগ্রেস তড়িঘড়ি করে কোনও পদক্ষেপ করার পক্ষপাতী নয়। কারণ বহু নেতারই মত, শিবসেনা আদর্শগতভাবে বরাবর তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী, ক্ষমতা দখলের জন্য তাদের সঙ্গে হাত মেলালে আখেরে পস্তাতে হবে। তাই এই মুহূর্তে তারা বিষয়টি নিয়ে এনসিপির সঙ্গে আরও আলোচনার পক্ষপাতী।
শিবসেনা আবার গতকালই দাবি করেছিল, বিজেপিকে বাদ দিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে এনসিপি-কংগ্রেস সমর্থন পেয়ে গিয়েছে তারা। কিন্তু সমর্থনের চিঠি জোগাড় করতে পারেনি। রাজ্যপালের কাছে তারা আরও ৩ দিন সময় চায় কিন্তু তিনি সেই অনুরোধ খারিজ করে দেন। এখন তিনি এনসিপিকে ডেকেছেন সরকার গড়ার জন্য, সময়সীমা আজ রাত সাড়ে আটটা। এনসিপি রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিল বলেছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা সেরে রাত সাড়ে আটটার মধ্যে রাজ্যপালের কাছে যাবেন তাঁরা।