Live Updates: সাঁকরাইলে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিল থেকে পুলিশকে বোমা, জখম হাওড়া সিটি পুলিসের ডিসি, ২ পুলিশকর্মী
বিক্ষোভকারীরা সিলামপুর থেকে জাফরাবাদের দিকে মিছিল করে যাচ্ছিল। সিলমপুর চকে নিরাপত্তাবাহিনী মিছিল এগতে বাধা দিলে পুলিশ, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জনৈক পদস্থ পুলিশ অফিসার জানান, বেলা ১২টা নাগাদ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল লোকজন নতুন নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)র বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
17 Dec 2019 08:34 PM
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী মিছিল ঘিরে অশান্তি হাওড়ার সাঁকরাইলে। আজ সন্ধ্যায় নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হল। জখম হয়েছেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ অজিত সিংহ ও আরও ২ পুলিশকর্মী। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই আইনের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয়েছে। বাস পুড়েছে, ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে। রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে অবরোধ করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা রেল অবরোধও করেছে। চরম ভোগান্তি হয়েছে সাধারণ মানুষের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসা, অশান্তির তীব্র নিন্দা করে গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে এনআরসি ও নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আবেদন করেছেন। আইন হাতে তুলে নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। পাশাপাশি গতকালের পর আজও তিনি কলকাতার রাজপথে পদযাত্রা করেছেন এনআরসির বিরুদ্ধে। তাঁর নিশানায় ছিল বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি। শাসক দলের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে কিছু লোকজন অশান্তি ছড়াচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। পাল্টা জবাব দিয়ে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপিও। তার মধ্যেই সাঁকরাইলে এবার পুলিশকে টার্গেট করা হল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী মিছিল ঘিরে অশান্তি হাওড়ার সাঁকরাইলে। আজ সন্ধ্যায় নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হল। জখম হয়েছেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ অজিত সিংহ ও আরও ২ পুলিশকর্মী। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই আইনের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয়েছে। বাস পুড়েছে, ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে। রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে অবরোধ করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা রেল অবরোধও করেছে। চরম ভোগান্তি হয়েছে সাধারণ মানুষের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসা, অশান্তির তীব্র নিন্দা করে গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে এনআরসি ও নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আবেদন করেছেন। আইন হাতে তুলে নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। পাশাপাশি গতকালের পর আজও তিনি কলকাতার রাজপথে পদযাত্রা করেছেন এনআরসির বিরুদ্ধে। তাঁর নিশানায় ছিল বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি। শাসক দলের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে কিছু লোকজন অশান্তি ছড়াচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। পাল্টা জবাব দিয়ে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপিও। তার মধ্যেই সাঁকরাইলে এবার পুলিশকে টার্গেট করা হল।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মোকাবিলায় দিল্লি পুলিশের আচরণের নিন্দা করলেন বিরোধী নেতারা। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে তাঁরা সিএএ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগের বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। পরে সাংবাদিকদের সনিয়া বলেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা যেভাবে পুলিশ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের মোকাবিলা করেছে, তাতে খুবই বিচলিত, ক্ষুব্ধ। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার জনগণের কন্ঠস্বর স্তব্ধ করে তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এমন আইন চালু করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সনিয়া বলেন, আমার মনে হয়, আপনারা সকলেই দেখেছেন, মানুষের কন্ঠস্বর দমন করে আইন প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে মোদি সরকারের বিন্দুমাত্র সহানুভূতি, সমবেদনা নেই। জামিয়া মিলিয়ার মেয়েদের হস্টেলে চড়াও হয়ে পুলিশকর্মীরা ‘নৃশংস ভাবে’ তাদের মারধর করেছে বলেও অভিযোগ করেন সনিয়া।
আজই উত্তরপূর্ব দিল্লির সিলমপুরে প্রতিবাদী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়, একাধিক বাইকে আগুন লাগায়, বাস ভাঙচুর করে, তাদের দিকে ইট-পাথর ছোড়ে। এই প্রেক্ষাপটেই বিরোধীরা রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হন।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলটি সম্প্রতি লোকসভা ও রাজ্যসভায় গৃহীত হয়ে তাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সইয়ের পর আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইনে অত্যাচারিত হয়ে ২০১৪-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আসা পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানরা এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তাঁদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলে ধরা হবে না। তবে বিরোধী দলগুলি, ছাত্রসমাজ ও সমাজকর্মীরা আইনে ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশের নানা শহরে প্রবল প্রতিবাদ, বিক্ষোভের মধ্যেই অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ওই আইন প্রত্যাহার, বাতিলের কোনও সম্ভাবনাই নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, বিরোধীরা এই আইনের ব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। কোনও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর একজনেরও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়ে তিনি আজ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ওই বিলে এর কোনও সংস্থানই নেই।
কংগ্রেসকে নিশানা করেও তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি (সিএএ) নেহরু-লিয়াকত চুক্তিরই অংশ ছিল। কংগ্রেসকে বলতে চাই, তা সত্ত্বেও এটি গত ৭০ বছরে প্রয়োগ করা হয়নি কেননা আপনারা ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আমাদের সরকার সেই চুক্তি কার্যকর করে লক্ষ, কোটি মানুষকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি শাহ জানিয়ে দেন, যে বাধাই আসুক, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম উদ্বাস্তুরা যাতে ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে মর্যাদার সঙ্গে এ দেশে থাকতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করবে মোদি সরকার।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাশ হওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ থেকে প্রবল অশান্তি ছড়াল। একদল বিক্ষোভকারী মারমুখী হয়ে উঠে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে উত্তরপূর্ব দিল্লির সিলমপুর এলাকায়। তারা একাধিক বাইকে আগুন ধরায়, সরকারি বাস ভাঙচুর করে। কোথাও কোথাও লুঠপাট চলে বলেও অভিযোগ। নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত পরশু অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আবাসিক কলোনি। দেশের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়ার পড়ুয়ারাও প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন। পাল্টা তাঁদের ক্যাম্পাসে ঢুকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই আজ ফের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিলমপুর। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। অন্তত স্থানীয় দুটি মহল্লা থেকে কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী উঠতে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের দুটি বাইক বিক্ষোভকারীরা জ্বালিয়ে দিয়েছে, একটি পুলিশ বুথে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্যাপক হিংসার পর পুলিশ নামে। সাময়িক বন্ধ থাকে সীলামপুর ও গোকুলপুরী মেট্রো স্টেশন।
বিক্ষোভকারীরা সিলামপুর থেকে জাফরাবাদের দিকে মিছিল করে যাচ্ছিল। সিলমপুর চকে নিরাপত্তাবাহিনী মিছিল এগতে বাধা দিলে পুলিশ, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জনৈক পদস্থ পুলিশ অফিসার জানান, বেলা ১২টা নাগাদ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল লোকজন নতুন নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)র বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। রবিবার বিকালে জামিয়ার পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলেও তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় প্রায় ২ হাজার লোক। স্থানীয় মসজিদ থেকে শান্তিরক্ষার, কোনওরকম হিংসার রাস্তা না হাঁটার আবেদন করা হয় বারবার। আজকের বিক্ষোভ, অশান্তির পিছনে কোন সংগঠন রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। জনৈক স্থানীয় রাজনীতিকের দাবি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদই হচ্ছিল, কিছু দুষ্কৃতী ভিড়ে মিশে গিয়ে হিংসা ছড়ায়। বিক্ষোভস্থল থেকে অ্যাসিডের বোতল ছোড়ার অভিযোগ করেছেন জনৈক পুলিশকর্মী। তাঁর পায়ের কিছু জায়গা পুড়ে গিয়েছে অ্যাসিডে।
একটি সূত্রের খবর, স্থানীয় পিস কমিটির লোকজনের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভস্থল ছেড়ে দিল্লি পুলিশ ও বিশেষ ফোর্সের কিছু টিম ফিরে যায়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জনসাধারণকে শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়ে হিংসায় কোনও লাভই হয় না বলে অভিমত জানিয়েছেন। ট্যুইটে লিখেছেন, সব দিল্লিবাসীকে শান্তিরক্ষার আবেদন করছি। কোনও ধরনের হিংসাই সভ্য সমাজে বরদাস্ত করা যায় না। হিংসায় কিছুই মেলে না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে আবেগ, ক্ষোভ জানান।