live updates- আজকের পর আগামী ২৫ বছর মোদিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না কেউ, বলল শিবসেনা, জাতীয়তাবাদী শক্তির জয়, বলল সঙ্ঘ পরিবার, ফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ মায়াবতীর

জাতীয় স্তরে কে কোথায়, দেখে নিন একনজরে

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 23 May 2019 08:11 PM
নির্বাচনের ফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন মায়াবতী। বললেন, কখনও ভাবেননি, উত্তরপ্রদেশে বিরোধী মহাগঠবন্ধনের খারাপ পারফরম্যান্স হতে পারে।


আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক ভাইয়াজি জোশী বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, যাঁরা গণতন্ত্রের এই জয়ে অবদান রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে অনেক শুভেচ্ছা-অভিনন্দন। গণতন্ত্রের চেতনা, আদর্শ আরও একবার গোটা দুনিয়ার সামনে প্রতিষ্ঠিত হল। ভারতের কোটি কোটি মানুষ ভাগ্যবান, আবার একটা স্থিতিশীল সরকার আসছে। সঙ্ঘের বিশ্বাস আছে যে, নতুন সরকার সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণের চেষ্টা করবে, সফল হবে। সেইসঙ্গে এও বলেছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর যাবতীয় তিক্ততার অবসান হবে, জনতার রায় বিনয়ের সঙ্গে সবাই মেনে নেবে বলে আমরা আশাবাদী।
রাজ্যসভা সদস্য সঞ্জয় বলেন, বিজেপি-এনডিএ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়েও ভাল ফল করছে যেখানে গত বছর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস জিতেছিল। দেশ পরের ৫ বছর মোদির নেতৃত্বেই ভরসা রাখল। তিনি দেশকে আরও ৫ বছর এগিয়ে দেবেন।
এই জয় জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলির সাফল্য। বিজেপি-এনডিএর বিপুল নির্বাচনী সাফল্যে বলল আরএসএস।
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, মানুষ বিরোধী দলগুলিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে যারা রাফাল যুদ্ধবিমান ডিলের মতো ইস্যুতে মোদির বিরুদ্ধে ‘বিভ্রান্তির আবহাওয়া’ ছড়িয়েছেন। দলীয় মুখপত্র সামনা-র সম্পাদক তিনি। সঞ্জয় বলেছেন, গোটা দেশ মোদি-ময়। সত্যিটা মেনে নিতে হবে যে, আর কেউ মোদির মোকাবিলার মতো নেই। আজকের জনমত এমন হল যে, ২৫ বছর কেউ তাঁকে প্রশ্নই করতে পারবে না।
আজকের পর আগামী ২৫ বছর নরেন্দ্র মোদিকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে না। বলল শিবসেনা। প্রধানমন্ত্রীর উচ্চ্বসিত প্রশংসা করেছে মহারাষ্ট্রে বিজেপির শরিক উদ্ধব ঠাকরের দল। গত ৫ বছরে শিবসেনা নানা সময়ে একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে। যদিও ভোটের মাত্র কিছুদিন আগে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে শিবসেনার আলোচনার মাধ্যমে দুদলের সম্পর্কে বরফ গলে।
বিজেপিকে নির্বাচনী সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাল আমআদমি পার্টি (আপ)। দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রের সবগুলিতেই এগিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা। তিনজন এগিয়ে লক্ষাধিক ভোটে। কংগ্রেস পাঁচ ও আপ দুটিতে পিছিয়ে আছে। এই প্রেক্ষাপটে আপ বলেছে, গণতন্ত্রে মানুষের রায়কে খুবই শক্তিশালী ধরা হয়। ভারতের রায়কে আমরা সম্মান জানিয়ে বিজেপিতে জয়ের অভিনন্দন জানাই। নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর ভবিষ্যত শাসনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা। আশা করি, তিনি আগামীদিনে ভাল কাজ করবেন।
সানি দেওল এগিয়ে পঞ্জাবের গুরদাসপুরে। নিকটতম কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল জাখরকে ৪৭ হাজারের বেশি ভোটে পিছনে ফেলেছেন তিনি। শুর থেকেই তিনি ভাল লিড নেন। এই প্রবণতা দেখে বর্ডার, গদর-এর মতো হিট ছবির অভিনেতা বলেন, দারুণ লাগছে। ভীষণ খুশি আমি। মোদিজি জিতছেন। আমি নিশ্চিত ছিলাম, গুরদাসপুর কেন্দ্রের মানুষ আমায় খুব ভাসবাসেন, আমার জয় নিশ্চিত করবেন। এখানে ২০১৭য় এই কেন্দ্রের বিজেপি এমপি, অভিনেতা বিনোদ খন্নার মৃত্যুর পর হওয়া উপনির্বাচনে জাখর জয়ী হয়েছিলেন।


বিহারে ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের ৩৫টিতে এগিয়ে এনডিএ। মহাজোটের শরিক আরজেডি এগিয়ে মাত্র ২টিতে। এনডিএ শরিক বিজেপি ও জেডি (ইউ) ১৫টি করে কেন্দ্রে এগিয়ে, আরেক শরিক এলজেপি ৫টিতে। এগিয়ে থাকা এনডিএ প্রার্থীদের মধ্যে আছেন ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ, রবিশঙ্কর প্রসাদ। পিছিয়ে আছেনেন আরজেডির শরদ যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামকৃপাল যাদব, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা কংগ্রেস প্রার্থী মীরা কুমার। আরএলএসপির উপেন্দ্র কুশওয়া, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন কুমার মাঝি।
মথুরায় এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী হেমা মালিনী। তিনি ২২ হাজারের বেশি ভোটে পিছন ফেলেছেন মহাগঠবন্ধন প্রার্থী কুনওয়ার নরেন্দ্র সিংহকে।
দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে বিজেপি। তাদের টিকিটে প্রার্থী হওয়া গৌতম গম্ভীর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, মনোজ তেওয়ারি এগিয়ে আছেন। শীলা দীক্ষিত রয়েছেন মনোজের পিছনে।
গণনা শুরুর ২ ঘন্টা বাদে একাধিক নিউজ চ্যানেল সম্প্রচারিত খবর অনুসারে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ এর টার্গেট ছাড়িয়ে ৩০০ –র বেশি আসন পেতে চলেছে। কংগ্রেস-ইউপিএ ১০০ –র আশপাশে রয়েছে। কংগ্রেস একা পাচ্ছে ৫১টি। শেষ খবর, এনডিএ ৩৩৬টি তে এগিয়ে আছে। ইউপিএ এগিয়ে ৯৯টিতে। অন্যরা এগিয়ে ১১২টিতে।
২০১৪-য় বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ৭১টি আসন পায়। সপা পায় ৫টি। কংগ্রেস ২টি। সেবার বসপা একটিও আসন পায়নি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধী সহ হেভিওয়েট কয়েকদন এগিয়ে। পিলিভিটে এগিয়ে বিজেপির বরুণ গাঁধী, এলাহাবাদে রীতা বহুগুণা জোশী। বরেলিতে সন্তোষ গাঙ্গওয়ার।
মইনপুরিতে এগিয়ে মুলায়ম সিংহ যাদব। তাঁর ছেলে অখিলেশ এগিয়ে আজমগড়ে। তাঁর স্ত্রী ডিম্পল যাদব এগিয়ে কনৌজে।
উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভার ৫৬টিতেই এগিয়ে বিজেপি। বাকিগুলিতে বহুজন সমাজ পার্টি-সমাজবাদী পার্টি (বসপা-সপা) জোট। মায়াবতীর দল ১২টি, অখিলেশ যাদবের দল এগিয়ে সাতটিতে। কংগ্রেস ২ ও আপনা দল (সোনেলাল) একটিতে এগিয়ে। সুলতানপুরে এগিয়ে মানেকা গাঁধী।
কেরলে দারুণ ফলের সম্ভাবনা কংগ্রেসের ইউডিএফের। তারা ২০টি লোকসভা কেন্দ্রের সবগুলিতেই এগিয়ে রয়েছে। রাহুল গাঁধী নিকটতম সিপিআই প্রার্থী পি পি সুনীরের থেকে ৩৪৯৮৯ ভোটে এগিয়ে আছেন।

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি: অমেঠিতে পিছিয়ে রাহুল গাঁধী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এগিয়ে। রাহুল যদিও কেরলের ওয়েইনাড়ে এগিয়ে আছেন।
বারাণসীতে এগিয়ে নরেন্দ্র মোদি। গুজরাতের গাঁধীনগরে এগিয়ে নরেন্দ্র মোদি।
অন্যদিকে বিজেপির প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ভোপালে এগিয়ে আছেন। পিছিয়ে আছেন কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ।
গুনায় কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পিছিয়ে। এগিয়ে বিজেপির কৃষ্ণ পাল সিংহ। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ছেলে নকুল নাথ ছিন্দওয়ারায় এগিয়ে আছেন।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.