LIVE UPDATE: জেএনইউ: 'ফ্যাসিস্ত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক', 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নষ্টের চেষ্টা', বিজেপির কড়া নিন্দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা, মোদি সরকারকে টার্গেট সনিয়ার

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস হস্টেলে হামলাকাণ্ডে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি এসএফআই-এর। মোদি সরকারের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের সদর দফতর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন। জেএনএউ ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ অবস্থান পড়ুয়াদের। মুম্বইয়ে গেট অফ ইন্ডিয়ায় পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 06 Jan 2020 02:09 PM
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জেএনইউয়ের পড়ুয়াদের ওপর গতকালের আক্রমণকে ২০০৮ এর মুম্বই সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করলেন। তিনি বলেছেন, মুম্বইয়ের ২৬/১১-র সন্ত্রাসের কথা মনে পড়ে গেল। গতকালের হামলাকারীদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি দাবি করেছেন, কারা এই মুখোশধারী হামলাবাজ, তার তদন্ত চাই।

প্রতিদিনই ভারতব্যাপী ক্যাম্পাসে, কলেজে হানা দিচ্ছে হয় পুলিস অথবা বিজেপি সরকারের সমর্থনপুষ্ট লুম্পেনবাহিনী। সরকার প্রতিটি বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বরকে চাপা দিয়ে বশ্যতা মানাতে যে কতদূর যে পারে, জেএনইউয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকদের ওপর গতকালের হাড় হিম করা সন্ত্রাস তা ভয়ঙ্কর ভাবে মনে করিয়ে দিল। এই অভিমত জানিয়ে সনিয়া বলেছেন, ছাত্র ও যুবসমাজের দরকার বহনসাধ্য শিক্ষা, পছন্দসই কাজ, প্রতিশ্রুতিভরা এক ভবিষ্যত্ ও আমাদের সমৃদ্ধশালী গণতন্ত্রে শরিক হওয়ার অধিকার। দুঃখের কথা হল, সরকার এই প্রতিটি আশা-আকাঙ্খার গলা টিপে ধরে দমিয়ে রাখতে চায়। গোটা কংগ্রেল দল ভারতের যুবক, পড়ুয়াদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছে, পাশে থাকছে। গতকালের জেএনইউয়ের প্ররেচনা দেওয়া হিংসার কঠোর নিন্দা ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি আমরা।
জেএনইউয়ে পড়ুয়া নিগ্রহের তীব্র নিন্দা করে প্রতিদিন ভারতের যুবসমাজ ও পড়ুয়াদের কন্ঠস্বর দমন করা হচ্ছে বলে প্রতিক্রিয়া দিলেন সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী এর পিছনে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে জড়িয়ে অভিযোগ করেছেন, ভারতের যুবসমাজের ওপর শাসক মোদি সরকারের প্রত্যক্ষ উসকানিতে গুন্ডাবাহিনীর ভয়াবহ, অভূতপূর্ব সন্ত্রাস নিন্দনীয়, কখনই মেনে নেওয়া যায় না।
গতকাল হামলার পর এখনও জেএনইউ চত্বরে ছড়িয়ে তার চিহ্ন। ভাঙচুর করা হয় হস্টেলের বিভিন্ন অংশ। পড়ে রয়েছে অস্ত্রও।

গতকাল জেএনইউ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশকে তলব দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালওয়ালের।

‘দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর চলছে ফ্যাসিস্ত কায়দায় হামলা। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকেও ধ্বংসের চেষ্টা’ জেএনইউকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ডুমুরজলায় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
জেএনইউকাণ্ডের পড়ুয়াদের শান্তি বজায় রাখার আর্জি উপাচার্য্যের।
বেঙ্গালুরুর টাউন হলে জেএনইউকাণ্ডের প্রতিবাদ।
জেএনইউকাণ্ডের পর আরও সতর্ক দিল্লি পুলিশ। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ করা হল অতিরিক্ত বাহিনী। অন্যদিকে জেএনইউ চত্বরেও মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।
জেএনইউ কাণ্ডে সবরমতী হস্টেলের ওয়ার্ডেনের ইস্তফা। ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার কথা জানিয়ে পদত্যাগ। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার আজ সকালে উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পেশ করেছেন। ঐশী ঘোষ ছাড়া বাকি আহতদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জেএনইউ কাণ্ডে হিংসা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে এফআইআর দায়ের দিল্লি পুলিশের। যদিও ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত, নাকি বহিরাগত? এখন এই নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
জেএনইউ কাণ্ডের কড়া নিন্দা মুখ্যমন্ত্রীর। দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে এই দলে রয়েছেন তিন সাংসদ সাজদা আহমেদ, মানস ভুঁইয়া ও বিবেক গুপ্ত। সংসদীয় কাজে দিল্লি যাচ্ছেন আরেক তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। জেএনইউ-এর পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।
জেএনইউ হামলার ঘটনায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাসভবনে মিটিং আম আদমি পার্টির উচ্চপদস্থ নেতাদের। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত রয়েছেন মিটিং-এ।
দিল্লি পুলিশের সঙ্গে মিটিং জেএনইউ-র পড়ুয়া ও শিক্ষকদের। হামলাকারীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান তাঁরা। দাবি দাওয়া মানার আশ্বাস পুলিশের।
হামলার ঘটনায় জেএনইউ-এর রেজিস্ট্রার, প্রোক্টর ও রেক্টরকে তলব করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের বৈঠক হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। রাতে ক্যাম্পাসে ফ্ল্যাগ মার্চ করে তারা।

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস হস্টেলে হামলাকাণ্ডে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি এসএফআই-এর। মোদি সরকারের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের সদর দফতর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন। জেএনএউ ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ অবস্থান পড়ুয়াদের। মুম্বইয়ে গেট অফ ইন্ডিয়ায় পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ। জেএনএউ হামলাকাণ্ডে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মোমবাতি মিছিল।

হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে জেএনএউ -এর রেজিস্ট্রার, প্রোক্টর ও রেক্টরকে তলব মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের বৈঠক হয়। রাতে এইমস্-এর ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে দেখা করে পড়ুয়াদের একটি প্রতিনিধিদল।

গতকাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলাকালীন মুখে রুমাল বেঁধে তাদের ওপর হামলা করে একদল হামলাকারী। আক্রান্ত হন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। মহিলা হস্টেলে হামলার ঘটনায় এসএফআইয়ের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করাতেই এবিভিপি-র গুণ্ডারা এই জঘন্য কাজ করেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঐশী ঘোষকে দিল্লি এইএমস-এর ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকেই জেএনইউ-তে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ সামিল হয়েছিল এসএফআই সহ আরও একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন। জেএনইউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে ছাত্রসংগঠনের নেতা কর্মীরা। এসআফআই-এর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম শিথিল করার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হলেও তারা তা করেনি। বরং ফি বৃদ্ধির পথেই হেঁটেছে জেএনইউ। আর তার প্রতিবাদ করাতেই হামলা করা হয়েছে। বাম ছাত্র সংগঠনের দাবি আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কর্মীরাই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।

হাতে ব্যাট, রড নিয়ে জেএনইউ-তে হামলা চালানোর অভিযোগ এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। পড়ুয়া সহ একাধিক অধ্যাপকও আক্রান্ত হয়েছেন বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্কৃয়তারও অভিযোগ করা হয়েছে বামেদের তরফে। কীভাবে ১৫-২০ জন ‘বহিরাগত’ গার্লস হস্টেলে ঢুকে পড়ল? কী করছিল পুলিশ? প্রশ্ন এসএফআই-এর। যদিও এবিভিপি-র পাল্টা অভিযোগ, বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাই তাদের ওপর হামলা চালায়।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.