মুম্বই: একদিকে দেশের রক্ষা , অপরদিকে ভালবাসাকে যত্নে রাখা। দেশ এবং পরিবারের মধ্যে কোনও একটা বেছে নিতে হবে যে ! যার সামনে সব রহস্যের তালা খুলে দিতে মন চায়, আর থেকেই কিনা লুকিয়ে রাখতে হবে সব কিছু ! প্রেমের কাছে প্রতিজ্ঞা নাকি দেশের কাছে প্রতিশ্রুতি বড় হয়ে দাঁড়াবে ? আজ্ঞে হ্যাঁ, অ্যাকিউরিসির এই মিশেলেই, দাঁড়িপাল্লায় বাজিমাত শান্তনু বাগচি (Shantanu Bagchi) পরিচালিত সিদ্ধার্থ ও রশ্মিকার 'মিশন মজনু।'


সিদ্ধার্থ মলহোত্রার (Sidharth Malhiotra) 'মিশন মজনু' (Mission Majnu) সফল। মন জয় করে নিয়েছেন রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandanna)। নেটফ্লিক্সে ( Netflix) এই ছবি দেখতে পারেন। দেশপ্রেম নিয়ে একের পর এক ছবি ভারতে (India) তৈরি করে এসেছেন নির্মাতারা।নাম থেকেই বোঝা যায় এই ছবিতে হিরোর একটি মিশন থাকবে।  আর মিশনটা ঠিক কী নিয়ে ? সেটা ট্রেলার থেকেই জানা যায়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে হেরে বোমা তৈরি করছে পাকিস্তান (Pakistan)। আর ভারতকে এই মিশন ব্যর্থ করতে হবে।বোঝাই যাচ্ছে যে, পাকিস্তানের মিশন ব্যর্থ করার গুরু দায়িত্ব এছবির নায়কই সামলাবেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই দায়িত্ব সিদ্ধার্থ মলহোত্রার উপর পড়ে। যিনি পাকিস্তানে বসবাস করছেন মূলত একজন দর্জি হিসেবে। ছবিতে সিদ্ধার্থ একজন অন্ধ মেয়ে রশ্মিকা মন্দানাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু কীভাবে ? মিশনটি শেষ হলে কী হয় রশ্মিকার ? এটুকু অধরাই থাক, বাকি জানতে হলে চোখ রাখুন নেটফ্লিক্সে। দেশপ্রেম নিয়ে তৈরি ছবি শেরশাহে ইতিমধ্যেই অভিনয়ে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন সিদ্ধার্থ মলহোত্রা।  আর বলাইবাহুল্য এই ছবিতে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। ছবিতে দর্জি এবং এজেন্টের ভূমিকায় একদম নিখুঁত সিদ্ধার্থ। বলা যায় কমেডি থেকে অ্যাকশন, সবেতেই অ্যাকিউরিসি লেভেল বেশ টানটান রেখেছেন তিনি।  আর এই ছবিতে রশ্মিকা এমন এখটি চরিত্রে আছেন, যিনি চোখে দেখতে পায় না। এদিকে চরিত্রে যিনি দেখতেও খুব সুন্দর। 






আরও পড়ুন, অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছে শ্যুটিং, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ ছবি চলছে নন্দনে


 তবে শুধুই সিদ্ধার্থই নন, অভিনয়ে টক্কর দিয়েছেন রশ্মিকা মন্দানাও।  মন ছুঁয়ে যায় তার অভিনয়ে। তবে এজেন্টের ভূমিকায় কুমুদ মিশ্রও প্রশংসার দাবি রাখে।  মন দাগ কাটে সারিব হাশমির অভিনয়ও। বেশ ভাল পরিচালনা করেছেন শান্তনু বাগচি (Shantanu Bagchi)। সিনেমাটোগ্রাফি, পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছে কেতন সোধারের মিউজিক। গানগুলি এই ছবির অন্যতম অ্যাসেট। আপনি যদি সিদ্ধার্থ এবং রশ্মিকার ভক্ত হন, তাহলে এই ছবি আপনার কাছে নতুন বছরে অন্যতম উপহার হতে চলেছে।