Rocky Aur Rani Kii Prem Kahaani Review:  কভি খুশি কভি গম, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, কাল হোনা হো কিংবা কলঙ্ক - কর্ণ জোহর আর বক্সঅফিসে ধামাকা একসময় সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। ৯০ দশক থেকে প্রেম, পরিবার, বিরহ, বন্ধুতা এই বিষয়গুলির ককটেলে এক স্বপ্নিল চিত্র তুলে ধরে এসেছেন তিনি। কর্ণ জোহর মানেই বিনোদনের চূড়ান্ত রসায়ন। সেই আশা কি পূরণ করতে পারল রণবীর - আলিয়া অভিনীত 'রকি আউর রানি কী প্রেম কাহানি' (Rocky Aur Rani Kii Prem Kahaani) ? প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন রণবীর - আলিয়া


রকি আর রানি। রণবীর ও আলিয়া।  প্রেমের কাহানি বললেও এই রকি আর রানির প্রেমের গপ্পোটি মূলত দেখানো হয়েছে ইন্টারমিশনের পর। রকি দিল্লির পাঞ্জাবি পরিবারের হুল্লোড়ে ছেলে। পয়সাওয়ালা পরিবারের সন্তান তবে আচার ব্যবহারে পুরোদস্তুর 'দেশি' ! ফটাফট ইংরিজির ধার ধারে না সে। আর আলিয়া অর্থাৎ রানি এখানে সংবাদ সঞ্চালিকার চরিত্রে। ট্রেলারেই সকলে দেখেছেন, তিনি বাঙালি। অভিজাত বাঙালি সংস্কার তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে। দুজন প্রেমে পড়লেও দুই পরিবারের আদব-কায়দায় তো জমিন-আশমান ফারাক ! তাই দুজনেই দুজনের পরিবারের কাছে থেকে দেখতে চায় দুই ভিন পরিবারের মানুষ তাদের মেনে নিতে পারে কি না। এক-দুইদিন নয়, তিন-তিন মাস রকি থাকবে রানির পরিবারে, রানি থাকবে রকির বাড়িতে ! এরপর কী ঘটল ? তারা কি পারল মানিয়ে নিতে, পারল কি তারা দুই পরিবারের হৃদয় জিতে নিতে ? এই গল্পই বলেছে 'রকি আউর রানি কী প্রেম কাহানি' (Rocky Aur Rani Kii Prem Kahaani)। 

ছবির প্রথম হাফে দেখানো হয়, রকির দাদু ( অভিনয়ে ধর্মেন্দ্র ), রানির দিদিমার ( শাবানা আজমি)র মধ্যে প্রেমের সম্পর্কটি, যে কারণে রকি ও রানির কাছাকাছি আসা।  


অভিনয় 
অভিনয়ের কথা বলতে গেলে ছবির প্রাণভোমরাটি হলেন রণবীর সিংহ। রণবীরের অভিনয় আপনাকে একদিকে যেমন হাসাবে, তেমন কাঁদাবেও। তবে এখানে রকিকে নয়, রণবীর সিংহকেই যেন পর্দায় দেখছেন বলে মনে হবে। কারণ এইরকম রকির মতো অবতারে তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই দেখা যায়। এই ছবির একটি শিক্ষণীয় দিক হল যে, সোশাল মিডিয়া এক্সপোজার একটু সীমিত রাখা প্রয়োজন। বা ছবিতে এমন কিছু দেখাতে হবে, যা তিনি সোশাল মিডিয়ায় দেখাননি। তবে এতকিছুর পরও এটা বলতেই হয়, রণবীরের অভিনয়ই এই ছবিকে টেনে নিয়ে গিয়েছে। 


আলিয়ার অভিনয়ও বেশ ভাল। তবে এর থেকে অনেক ভাল কাজ তিনি করেছেন। এখানে আরও একটি কথা না বললেই নয়। ধর্মেন্দ্রর মতো বিরাট মাপের অভিনেতার জন্য ছোট্ট একটি রোল রাখা হয়েছে। আর শাবানা আজমিকে যে রোলটি দেওয়া হয়েছে, সেটা তো আরও অন্য কেউ করতে পারত। 


নির্দেশনা 

কর্ণ জোহরের পরিচালনাও গড়পড়তা।  স্ক্রিনপ্লেতে আরও মন দেওয়া দরকার ছিল। ছবিটি আরো ছোট হতে পারত। অনেকগুলি দৃশ্য অবান্তর লাগবে।  সেগুলি অনায়াসে বাদ দেওয়া যেত। একেক সময় মনে হবে ছবিটি কোন দিশায় যাচ্ছে। এছাড়া মনে হবে, প্রথম ভাগটি ছোট রেখে, দ্বিতীয় ভাগের বিষয় বস্তু আরও দীর্ঘায়িত করা যেত, তাহলে সংলাপ, ইমেশন আর বিনোদনের পুর আরও ঠেসে দেওয়া যেত। 


মিউজিক 

ছবির গান বেশ ভাল। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও বেশ ভাল লেগেছে। সবমিলিয়ে এই ছবিটি একবার হলে গিয়ে দেখাই যায়। তবে কর্ণ জোহরের সেরা ছবির তালিকায় হয়ত এই ছবিটিকে নিজেই রাখতে চাইবেন না পরিচালক।