বাঁকুড়া: ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ওখানেই একই রোগে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও চারজন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ রয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি আরও তিন রোগীর শরীরে।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও, খামতি নেই মৃত্যুমিছিলের। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইতিমধ্যে এই রোগকে মহামারী বলে ঘোষণা করেছে এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল-সহ 


মিউক্রোমাইসোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাঁকুড়ায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরো সাত জন। এদের মধ্যে চার-পাঁচ জনের অবস্থা সংকটজনক। তাঁরা বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা বলে হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে।


ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম প্রধান বলেন, ঐ রোগে আক্রান্ত একজনের কয়েক দিন আগেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। মুখ মণ্ডলের একটা দিক পচে গেছলো। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক খবর, তাঁকে বাঁচানো যায়নি।


অন্য আর এক জনের 'ব্রেনে'র সমস্যার কারণে তাকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত সাত জন এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে দু'জনের প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার হয়েছে।


অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম প্রধান বলেন, করোনার মতো এই রোগে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। সঠিক ও দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললেই এই রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। কোভিড আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর সুস্থতার পর বা কোভিড জাতীয় কোন উপসর্গ থেকে মুক্তির পর নাক বন্ধ বা ঐ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে নাক, কান, গলা বিভাগে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।  


ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সহ  প্রাথমিক চিকিৎসা পরিকাঠামো বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তৈরী আছে। সরকারী নির্দেশিকা মেনে এখানে চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে বলে তিনি জানান।