নয়াদিল্লি: জুন থেকে দিল্লিতে মিলবে রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন স্পুটনিত-ভি। সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, 'উৎপাদনকারী সংস্থা আশ্বাস দিয়েছে, ২০ জুনের পরেই রাজধানীতে পৌঁছে যাবে এই ভ্যাকসিন।'
এ দিন তিনি বলেন, 'আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, 'আগামী ২০ জুনের পরপরই উৎপাদনকারী সংস্থা আমাদের ভ্যাকসিন পাঠাবে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে ভ্যাকসিন তৈরির উপকরণ আনা হচ্ছে। অগাষ্টে ভারতেই উৎপাদন হবে ভ্যাকসিন। তবে তার আগে যেকটি তৈরি করা ডোজ ভারতে আসবে তারমধ্যে থেকেই কিছু ডোজ পাঠানো হবে দিল্লিতে।'
কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের পর তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে ভারতে আপৎকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে মস্কোর গ্যামেলিয়া ইন্সস্টিটিউটের তৈরি স্পুটিনিক ভি। বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে দাবি করা হয় এই ভ্যাকসিনকে।
রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)-এর সঙ্গে চুক্তি করে হায়দরাবাদের রেড্ডিজ ল্যাব, এ দেশে স্পুটনিকের ৩০ কোটি ডোজ তৈরি করবে। যার মধ্য়ে ১০ কোটি পাবে ভারত। আগামী অগাস্ট থেকেই ভারতে ভ্য়াকসিন তৈরির কাজ শুরু হবে।
এপ্রিলের শেষ এবং মে মাসের শুরুর দিকে দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। অক্সিজেন, হাসপাতাল বেডের অভাবে বাড়তে থাকে মৃত্যু মিছিল। দফায় দফায় লকডাউনে আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বলেই জানাচ্ছে দিল্লি সরকার। উল্লেখ্য, ১ মে থেকে দিল্লিতে তৃতীয় দফার টিকাকরণ অভিযান শুরুর পরেও পর্যাপ্ত ডোজের অভাবে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে একাধিকবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে জানান কেজরিওয়াল।
তবে স্পুটনিক-ভি আসার পর ভ্যাকসিনের আকাল কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্পুটনিক ভি দুটি ০.৫ এমএলের দুটি ডোজে ২১ দিনের ব্যবধানে দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, এই ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা ৯০ শতাংশের বেশি। নির্দেশিকা অনুসারে, তরল অবস্থায় এই টিকাকে মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখতে হবে। তবে ফ্রিজ-ড্রায়েড অবস্থায় তা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে। ফলে এর মজুত ও পরিবহণ সহজসাধ্য।