লন্ডন: তখন করোনার জেরে বিশ্বের অধিকাংশ শহরে লকডাউন। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বার হওয়া নিষেধ। যানবাহনের দেখা নেই। চলছে না উড়ান। কিছু অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা খালি ছাড়ের আওতায়। কিন্তু ছোট্ট মন অতশত বোঝে না। নিয়মবিধির বেড়াজালে আর কবেই বা আটকে থেকেছে শিশু মন! তাই ইতালির সিসিলি থেকে লন্ডন রওনা দিল ১০ বছরের রোমিও কক্স। তবে ২৮০০ কিলোমিটার পথ একা যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। বাবা ফিলের সঙ্গে ইতালির সিসিলির পালেরমো শহর থেকে রওনা দেয় সে।

বাবা-ছেলে পথে নেমেছিল জুনের ২০ তারিখ। তারপর শুধু হাঁটা। সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, পেরিয়ে সবে লন্ডন পৌছেছে তাঁরা। কিন্তু দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এলেও এখনই ঠাকুমার সঙ্গে দেখা করা যাবে না। থাকতে হবে কোয়ারান্টাইনে। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাদের এই রোমাঞ্চকর যাত্রার খানিকটা পোস্ট করেছে তারা। রোমিওর কথায়, যত কষ্টই হোক, ঠাকুমার সঙ্গে দেখা হলেই সব কষ্ট ভুলে যাব।


রোমিওর কথায়, আমরা কয়েকবার পথ হারিয়ে ফেলেছি। এমনকি বোলতার চাকের নীচে ঘুমিয়ে পড়েছি। যেটা মোটেই ঠিক কাজ ছিল না। কতবার পা কেটে গিয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়িনি। যখনই ভেবেছি ঠাকুমার সঙ্গে দেখা হবে, তখনই মনটা আনন্দে ভরে উঠেছে। প্রায় এক বছর আমার সঙ্গে ঠাকুমার দেখা হয়নি। উফ আমি ভাবতেই পারছি না। গোটা লকডাউনে ঠাকুমা একাই ছিল। আমার এতটাই ক্লান্ত লাগছে যেন ১০০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে। তবুও এটা বেশ মজার অভিজ্ঞতা।



রোমিও-র মতো একই ভাল লাগার কথা জানিয়েছেন বাবা ফিল। বলেছেন, ছেলের সঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছি। আমার মনে হয় সারা জীবনে এই অভিজ্ঞতার কথা কোনও দিনও ভুলব না। আমার অনেক কিছু হারিয়েছি। কিছু অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যে দিয়েও গেছি। কিন্তু কিছু জিনিস মায়ের সঙ্গেও শেয়ার করতে চাই না।