নয়াদিল্লি: মাঝে কিছু দিন বিরতি। কিন্তু ফাঁড়া কাটল না। মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে মৃত্যু হল আরও এক চিতার। এই নিয়ে ১০টি চিতার মৃত্যু হল সেখানে। মঙ্গলবার যে চিতাটির মৃত্যু হয়েছে, সেটিকেও নমিবিয়া থেকে এদেশে আনা হয়েছিল। নাম রাখা হয়েছিল শৌর্য।  দশম চিতাটির মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। চিতাটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কুনো ন্যাশনাল পার্ক। (Kuno National Park)


বন বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সংরক্ষক, ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিরেক্টরের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, 'আজ, ১৬ জানুয়ারি, দুপুর ৩টে বেজে ১৭ মিনিটে নমিবিয়া থেকে আনা শৌর্য নামের চিতাটির মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১১টা নাগাদ চিতাটির আচরণ অসংলগ্ন ঠেকে, গতিবিধি দেখে সন্দেহ জাগে। চিতাটিকে শান্ত করা হয় প্রথমে, তার পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে'। (Cheetah Death)


এর পর চিতাটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও, জটিলতা ক্রমশ বাড়ে, CPR দিয়েও কাজ হয়নি। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।এই নিয়ে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল ফরেস্টে ১০টি চিতার মৃত্যু হল, যার মধ্যে সাতটি প্রাপ্তবয়স্ক এবং তিনটি শাবক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে চিতার মৃত্যুতে সংক্রমণের তত্ত্ব উঠে এসেছে। ব্যবস্থাপনা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। 


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: ‘ধর্মকে গায়ে চাপিয়ে ঘুরি না, আমার কাছে হিন্দুধর্ম...’, রামমন্দির নিয়ে যা বললেন রাহুল


শেষ বার, গত বছর ২ অগাস্ট মাসে নবম চিতাটির মৃত্যু হয়। পর পর চিতার মৃত্য়ুর প্রসঙ্গ ওঠে সংসদেও। সেখানে সংক্রমণের তত্ত্ব তুলে ধরা হয়। বর্ষায় পতঙ্গদের থেকে সংক্রমিত হয়ে শেষ দুই চিতার মৃত্যু হয় বলে জানানো হয় সংসদে। তার পর মাঝে কয়েক মাসের বিরতি ছিল। এবার ফের এক চিতার মৃত্য়ু হল। 


পর পর চিতার মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারও। ঢাকঢোল পিটিয়ে বিদেশ থেকে চিতা নিয়ে এলেও, তার দেখভালের ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিদেশ থেকেও তা নিয়ে চিঠি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। কুনো ন্যাশনাল পার্কে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই, যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কথা শোনেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, নিম্নমানের রেডিও কলারের ব্যবহার, অব্যবস্থাকেও দায়ী করেছেন পশু বিশেষজ্ঞেরা। যদিও সরকার তা মানতে নারাজ।