নয়াদিল্লি: 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র তৃতীয় দিনে অযোধ্য়ায় রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের নেতানেত্রীরা অংশ নেবেন না বলে আগেই দলের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি-কে নিশানা করেন রাহুল। তাঁর দাবি, রামমন্দিরকে নির্বাচনী অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। (Rahul Gandhi)
মঙ্গলবার রাহুলের নেতৃত্বে কগ্রেসের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র তৃতীয় দিন, তার ফাঁকেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাহুল। রামমন্দির নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, "আমরা সর্বধর্মের পক্ষে। কংগ্রেস থেকে কেউ চাইলে যেতেই পারেন। কিন্তু আমাদের পক্ষে এই অনুষ্ঠানে যোগদান কঠিন কারণ প্রধানমন্ত্রী, যিনি কিনা আমাদের প্রধান বিরোধী, মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানকে তিনি নির্বাচনী অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন।" ২২ জানুয়ারি তিনি কোথায় থাকবেন, জানতে চাইলে রাহুল জানান, অসমে 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় থাকবেন তিনি। (Ayodhya Ram Mandir)
অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জিন খড়্গে, নেত্রী সনিয়া গাঁধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানকে রাজনীতির প্রচারমঞ্চে পরিণত করেছে বিজেপি এবং তাদের অভিভাবক সংস্থা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। তাই মানুষের আবেগ, ভক্তিকে সম্মান করলেও, দলের তরফে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না,' সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে এদিন নিজের ব্যক্তিগত অবস্থানও জানান রাহুল। তিনি বলেন, "আমার মতে, সত্যিকারের ধার্মিক যিনি, ধর্মের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ব্যক্তিগত ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মের প্রয়োগ করেন তিনি। ধর্মকে গায়ে চাপিয়ে ঘোরেন যাঁরা, তাঁরা ধর্ম থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেন। আমি নিজের ধর্মকে ব্যবহার করে ফায়দা তোলার চেষ্টা করি না, তাতে আগ্রহ নেই আমার। ব্যক্তিগত জীবনে ধর্ম এবং নীতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করি, কেউ কিছু বললে অহঙ্কার দেখাই না, কথা শুনি, ঘৃণা ছড়াই না। আমার কাছে এটাই হিন্দুধর্ম। নিজের জীবনে এই নীতি মেনে চলি। ধর্মকে গায়ে চাপিয়ে ঘোরার দরকার নেই। যারা হিন্দুধর্মের নীতি মানে না, তাদেরই ধর্মকে গায়ে চাপাতে হয়।" কংগ্রেসের পাশাপাশি অন্য বিরোধী দলগুলিও রামমন্দির নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠছে।