হায়দরাবাদ: অসুস্থতার কারণে হায়দরাবাদের নেহরু জুওলজিক্যাল পার্কে ১১ বছরের একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যু হল। গত মাসে অসুস্থতার জেরে এই নিয়ে এখানে মারা গেল দুটি রয়্যাল বেঙ্গল।


বাঘটির নাম কদম্বা। গত বৃহস্পতিবার রাত নটা ২০ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয়েছে তার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সে মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

ম্যাঙ্গালুরুর পিলিকুলা বায়োলজিক্যাল পার্ক থেকে ২০১৪-র ৬ মার্চ এই চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয় কদম্বাকে। চিড়িয়াখানা কিউরেটর এন ক্ষিতিজা জানিয়েছেন, তার শরীরে আগে থেকে কোনও অসুস্থতার চিহ্ন ছিল না কিন্তু গত কদিন খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করছিল সে। চিড়িয়াখানার পশু চিকিৎসকরা তাকে নজরদারিতে রেখেছিলেন। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মারা যায় সে। চিকিৎসকরা তার ময়নাতদন্ত করেছেন, রক্ত ও টিস্যু সংগ্রহ করেছেন, সে সব নিয়ে আরও পরীক্ষা চলবে। নমুনা পাঠানো হয়েছে রাজেন্দ্রনগরের কলেজ অফ ভেটেরিনারি সায়েন্সেস ও শান্তিনগরের ভেটেরিনারি বায়োলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও আট্টাপুরের ল্যাবরেটরি ফর দ্য কনজারভেশন অফ এনডেনজার্ড স্পিসিস-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি-তে।

এর আগে ২৪ জুন এই চিড়িয়াখানাতেই জন্ম নেওয়া ৮ বছরের একটি বাঘ কিরণের মৃত্যু হয়। নীচের চোয়ালে নিওপ্লাস্টিক টিউমার হয়েছিল তার। ২৯ মে থেকে ইনটেনসিভ কেয়ারে ছিল কিন্তু ১ মাস পর মৃত্যু হয়। কিরণের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন আরও দুটি বাঘেরও এর আগে নিউপ্লাস্টিক টিউমার হয়। বাঘের ওপর টিউমারের প্রভাব নিয়ে আরও জানার চেষ্টা করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

এ নিয়ে নেহরু জুওলজিক্যাল পার্কে ১১টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যু হল। এদের মধ্যে ৮টি পূর্ণবয়স্ক, বাকি ৩টি শিশু। তবে পূর্ণবয়স্ক বাঘগুলির মধ্যে রোজা (২১), সোনি (২০) এবং অপর্ণা (১৯) বাঘেদের গড় জীবনসীমা পেরিয়ে গিয়েছিল।