নয়াদিল্লি: অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি করতে মোট খরচ হবে ১১০০ কোটি টাকা।  মন্দির সহ গোটা কমপ্লেক্স শেষ করতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ বছর। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম আহ্বায়ক স্বামী গোবিন্দ দেব গিরজি মহারাজ একথা জানান। মন্দিরের প্রজেক্ট দেখে তিনি বলেন, পরিকাঠামো বিশেষজ্ঞ এবং ইঞ্জিনিয়াররা মন্দিরের নকশা তৈরি করছেন। মূল রাম মন্দির তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি। গোটা প্রজেক্ট রূপায়ণে খরচ হবে কম বেশি ১১০০ কোটি টাকা। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আইআইটি বম্বে, দিল্লি, মাদ্রাজ, চেন্নাই, গুয়াহাটি, রুরকির সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, টাটা গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা মন্দিরের পরিকাঠামোর দায়িত্বে আছেন।


মন্দির নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এখনও পর্যন্ত মন্দির নির্মাণে অনুদান বাবদ ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে জানান মহারাজ। তিনি বলেন, ৪ লক্ষ গ্রামে ১১ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। অনুদানের কাজে সামিল হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাম মন্দিরের জন্য এই অনুদান কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে ট্রাস্ট।


আগেই জানা গিয়েছিল,  হাজার বছরেরও বেশি অক্ষত থাকবে রাম মন্দির। তাই রাম মন্দির তৈরি করতে ব্যবহার করা হবে শুধু পাথর। একথা জানিয়েছিলেন, তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। মাটি যাতে ভারবহনে সক্ষম হয়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। ভূমিকম্পের ধাক্কা যাতে মন্দির সহ্য করতে পারে, সেই দিকটা দেখবে সিবিআরআই। লারসেন অ্যান্ড টুবরো মন্দির নির্মাণ প্রক্রিয়ার পুরোটা দেখাশোনা করবে। পাথরের পাশাপাশি মন্দির তৈরির জন্য প্রায় ১০ হাজার তামার রড লাগবে বলেও জানিয়েছেন  রাই। মন্দির তৈরিতে অংশগ্রহণ করতে চাইলে সাধারণ মানুষকে তামার রড দিয়ে সাহায্য করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, পাথরের তৈরি মন্দির অনেক বেশি টেকসই হবে।