নয়াদিল্লি: শ্যুটার বিতর্কে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ দাবি করল কংগ্রেস। একই সঙ্গে তাদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য করা হবে বলে তাঁর কাছে টাকা দাবি করেছিলেন বলে স্মৃতি ইরানি ও দুজনের বিরুদ্ধে কিছু দিন আগে অভিযোগ করেন আন্তর্জাতিক শ্যুটার বর্তিকা সিংহ। তিনি দাবি করেন, স্মৃতি ইরানির ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন লোক তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগের একটি ভুয়ো নিয়োগপত্র দেন। তার পরেই ওই শ্যুটারের কাছে টাকা দাবি করেন তাঁরা। আগামী ২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে এমপি-এমএলএ কোর্টে ওই মামলার শুনানি হবে।
বর্তিকা সিংহের এই অভিযোগ অস্ত্র করতে দেরি করেনি কংগ্রেস। সোমবার দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, এটা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। ইউপিএ আমলে যদি কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ উঠত, তা হলে তো স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস অফিসের বাইরে ধর্নায় বসে পড়তেন। এই দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকেও টেনে এনেছেন সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্মৃতির পদত্যাগ করে তদন্তের মুখোমুখি হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী কেন তাঁকে পদত্যাগ করতে বলছেন না? প্রধানমন্ত্রীর উচিত, এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত করানো। কারণ, যিনি এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন, তিনি কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন, এক জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শ্যুটার। সুরজেওয়ালার বক্তব্য, এই দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্মৃতি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী জবাব দেন কংগ্রেস সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।
স্মৃতির বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী কিরাট নাগরা। তিনি দাবি করেছেন, এটা উদ্ভট ও খারাপ কিছু মানুষের দ্বারা সাজানো অভিযোগ। এই অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে। নাগরা জানান, যাবতীয় অভিযোগের জবাব তাঁরা আইনের মাধ্যমেই দেবেন।