নীহারিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী, নয়ডার বাসিন্দা। দুবছর ধরে তিল তিল করে জমানো সঞ্চয় যাদের জন্য় সে ঢেলে দিল, তাদের কারও সঙ্গে তার রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও মানবতার ডাকে সাড়া দিল সে। তার বার্তাটি সহজ, অথচ জোরালো, সমাজ আমাদের এত কিছু দিয়েছে যে এই বিপদের সময় তাকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার দায় আমাদের সবার।
তার মা জানিয়েছেন, নীহারিকা লকডাউনে বিপাকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের খবর শুনে, তাদের সারি বেঁধে হাঁটার ছবি দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়ত। মায়ের কাছেই সে জানায়, ওদের জন্য কিছু করতে চায় নিজের সঞ্চয় ডোনেট করে। নীহারিকার দাবি মতোই তার পরিবার কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঝাড়খন্ডের তিন শ্রমিকের খোঁজ পায়, যারা অর্থাভাবে ঘরে ফিরতে পারছিল না। তাদের বিমানের টিকিট কেনা হয় নীহারিকার দেওয়া টাকায়। মানুষের বিপদে মানুষেরই পাশে থাকার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি হয়।