চণ্ডীগড়: হরিয়ানার (Haryana Incident) নুহ (Nuh) জেলায় যে সাম্প্রতিক হিংসার (Violence) ঘটনা ঘটেছিল, তাতে সোমবার পর্যন্ত ১৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানাল প্রশাসন। দায়ের হয়েছে ৫৬টি এফআইআর (FIR)। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, ওই হিংসাত্মক সংঘর্ষে ৬ জনের প্রাণ যায়। ৮৮ জন জখম। তবে সোমবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ৪ দিনের জন্য নুহ-তে সরকারের 'ডেমোলিশন ড্রাইভ'-এ স্থগিতাদেশ দিয়েছে। হিংসার ঘটনার পর থেকে নুহ জেলায় বুলডোজার চালিয়ে একাধিক নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, 'চিকিৎসা' হিসেবে বুলডোজার চলবে। তবে এদিনের পর খাট্টার প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্ত অন্তত ৪ দিনের জন্য থমকে গেল।


আর যা...
সরকারের তরফে গুঁড়িয়ে দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। কী ভাবে, ভুক্তভোগীদের কোনও আগাম নোটিস না দিয়েই এই অভিযান চালানো হল, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। অন্য দিকে, সোমবার নুহ জেলার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক বলেন, 'কার্ফু শিথিল হওয়ায় ব্যাঙ্ক এবং এটিএম বেলা ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে।' তবে নাকা চেকিংয়ের কড়াকড়ি চলছেই। 


'বেআইনি নির্মাণ ভাঙার' লক্ষ্যে গত কাল, অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত, টানা অভিযান চলেছে সরকারের তরফে। রবিবারই একটি তিনতলা রেস্তোরাঁ-হোটেল ভেঙে দেওয়া হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে টাইলসের একটি শো-রুমও। গত ৩১ জুলাইয়ের সংঘাতে নুহ-এর একাধিক এলাকা যখন তেতে, তখন পাথর ছোড়ার কাজে এই জায়গাগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি প্রশাসনের। শুক্রবার, নলহারে ৫টা বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পর দিন, অর্থাৎ শনিবার ওষুধের দোকান-সহ ৪৫টি পাকা নির্মাণের উপর বুলডোজার চলে। পুলিশ আগে দাবি করেছিল, সংঘর্ষের সময় এই নির্মাণগুলি যারা আশ্রয় নিয়েছিল তারাই আসলে অশান্তির মূল। যদিও জায়গা গুঁড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে বেআইনি দখলদারিকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছে হরিয়ানা প্রশাসন।


হিংসা...
জুলাইয়ের শেষ দিনে হরিয়ানার নুহ-তে অশান্তির যে দাবানল লেগেছিল, তা ছড়িয়ে যায় গুরুগ্রাম, রেওয়াড়িতে। একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়, করা হয় পাথর বৃষ্টি, ভাংচুর করা হয় দোকান। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে ৫৬টি এফআইআর। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫৬ জনকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনচারেক আগেই নামানো হয়েছিল কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু তার পর এই 'ডেমোলিশন ড্রাইভ' নিয়ে প্রশ্ন উঠছিলই।


 


আরও পড়ুন:নিঝুম সন্ধ্যা, আঁধার রাত, আর ধূসর গোলক, প্রথম দর্শনেই বাজিমাত, কক্ষপথ থেকে চাঁদের ছবি পাঠাল চন্দ্রযান-৩