মথুরা: বাবার উপর প্রচণ্ড রাগ। সহ্য করতে না পেরে প্রাণই শেষ করে দিল ছেলে। এরপর তার মাথায় ঘুরতে শুরু করে, কীভাবে লোপাট করা যায় খুনের যাবতীয় প্রমাণ! তা জানতে সে দেখে ফেলল জনপ্রিয় একটি ক্রাইম শো। এক-আধবার নয়, ১০০ বারের উপর দেখতে থাকল সেই ক্রাইম ফিকশন।
কিন্তু এতসব কিছু করেও পার পেল না সে। পুলিশের জালে পা দিতেই হল দ্বাদশ শ্রেণির সেই পিতৃঘাতককে। এরপরই পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে। সেটি ঘেঁটে পুলিশের নজরে আসে একটি আশ্চর্যজনক বিষয়। বাবাকে খুন করার পর একশ বারেরও বেশি ইউটিউবে টেলিভিশনের একটি জনপ্রিয় ক্রাইম শো দেখেছে সে।
মে মাসের ঘটনা। ৪২ বছরের মনোজ মিশ্রর 'অপরাধ' ছিল ছেলেকে বকাঝকা করা। সেটাই সহ্য করতে পারেনি ছেলে। বাড়িতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে সে। অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এখানেই শেষ নয়। এরপর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে ধরে ছেলে। বেরিয়ে আসে শেষ প্রাণবায়ুটুকু।
এরপর মায়ের সাহায্য নিয়ে বাবার দেহ সরায় ছেলে। খবর পুলিশ সূত্রে। স্কুটিতে চাপিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যায় জঙ্গলে। সেখানে প্রথমে দেহ জ্বালিয়ে দেয় সে। প্রমাণ মুছে ফেলতে ব্য়বহার করা হয় টয়লেট ক্লিনারও।
পরদিনই জঙ্গলের মধ্যে পুলিশ আধ পোড়া দেহের কিছু অংশ পড়ে থাকতে দেখে। কিন্তু কারও নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত অভিযোগও পুলিশের কাছে আসেনি তখন। শেষমেষ ইস্কন কর্তৃপক্ষের চাপে ওই ব্যক্তির 'মিসিং ডায়েরি' করে পরিবার। মৃত ব্যক্তি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এরপর ওই আধপোড়া দেহাবশেষ দেখেই সহকর্মীরা বুঝতে পারেন, এটি মনোজেরই দেহ।