নিউ ইয়র্ক: করোনা সংক্রমণে বিশ্বের প্রথম স্থানে এখনও আমেরিকা। তারই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াল স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা। সমীক্ষা অনুযায়ী ট্রাম্পের ১৮ নির্বাচনী সভায় কম করে ৩০হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে সাতশোরও বেশি মানুষের।


২০ জুন থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮টি নির্বাচনী সভায় জন সমাগম, দূরত্ব বিধি না মানা, মাস্ক পরা সহ করোনা বিধিতে তেমন জোর দেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছে সমীক্ষা। ফলে যে সমস্ত জায়গায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক নির্বাচনী সভা করে গিয়েছেন তার পরিণাম ভুগতে হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। এ ধরনের পরিস্থিতি যে হতে পারে সে বিষয়ে আগেই সচেতন করেছিলেন মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যে কোনও ধরনের বড় জমায়েত, যেখানে করোনার নিয়মবিধিগুলি ঢিলেঢালা সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা।


এই সমীক্ষার পরে, ট্যুইটারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি লিখেছেন, ট্রাম্প আপনার কথা ভাবেন না। এমনকী নিজের দলের সমর্থকদের নিয়ে পর্যন্ত তিনি চিন্তিত নন। শুক্রবারের প্রকাশিত সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৮.৭ মিলিয়নের বেশি আমেরিকার মানুষ কোভিড ১৯ রোগাক্রান্ত হয়েছেন, প্রায় ২,২৫,০০০ মানুষের মৃত্যু ডেকে এনেছে।


এই ধরনের জমায়েত নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। অতিমারি নিয়ন্ত্রণে আনার যে চেষ্টা এই ধরনের জমায়েত তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলেই মত প্রকাশ করেছিল সিডিসি। এই ধরনের জমায়েতকে সুপারস্প্রেডার ইভেন্ট বা অতিদ্রুত সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষমতাসম্পন্ন বলে অভিহিত করেছিল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। কারণ দেখা গিয়েছে ট্রাম্পের নির্বাচনী সভায় করোনা সংক্রমণে রাশ টানার বিধিগুলিতে তেমনভাবে জোর দেওয়া হয়নি। উপরন্তু করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাকে খানিকটা লঘু করে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে।


একাংশের মতে, ট্রাম্প নিজেও মাস্ক ব্যবহারের তেমন পক্ষপাতী ছিলেন না। এমনকী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও হোয়াইট হাউসে ফিরে মাস্ক খুলে ফেলেছিলেন, ফলে তাঁর নির্বাচনী সভায় করোনা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা যে দেখা যাবে না, সেই আশঙ্কা ছিল মার্কিন নাগরিকদের একাংশেরও। সমীক্ষায় সেটাই প্রমাণিত।