তিরুবনন্তপুরম: স্কুল খুলতেই বিপত্তি কেরলে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্কুল খোলার পরই রাজ্যের প্রায় ২০০ জন পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭২ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী।


গত মাসে স্কুল খোলার ছাড়পত্র দিয়েছে কেরল সরকার। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ একাধিক গাইডলাইন প্রকাশ করেছে পিনরাই বিজয়নের সরকার। ধাপে ধাপে স্কুল খুলেছে একাধিক জেলা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন পড়ুয়া সহ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। প্রত্যেকেই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।


জেলার মেডিক্যাল অফিসার ডা. কে সাকিনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথমে একজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের সংস্পর্শে আসা বাকিদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ওই অঞ্চলের বাকি স্কুলগুলিতেও নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতেই অনেকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।


সব মিলিয়ে ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই স্কুলের মধ্যে একটায় ১৪৯ জন এবং অন্যটিতে ৪৩ জন পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সহ একটি স্কুলে ৩৯ জন, অন্যটিতে ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।


গত বছর ভারতে প্রথম করোনার হদিশ মেলে কেরলেই। নতুন করে ফের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে কেরলে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৩৮। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৬৭।


ডিসেম্বর মাসের শেষে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কেরল সরকার। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলে রাজ্যে। মূলত প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস এবং কোনও বিষয়ে সমাধানের জন্য ক্লাস হয় স্কুলগুলিতে। একাধিক সময়ে, ন্যূনতম পড়ুয়া নিয়ে শুরু হয় ক্লাস।