সনৎ ঝা, দার্জিলিং: আগামী ২ মাস চাল, আলু ও ছোলার পাশাপাশি মিড ডে মিলের জন্য বিলি করা হবে ডাল, সয়াবিন ও চিনি। রাজ্য সরকারের ঘোষণায় খুশি অভিভাবকরা। বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে কল্পতরু হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


রাস্তা-উড়ালপুলের জন্য ঢালাও বাজেট বরাদ্দ। সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী। পাট্টা বিলি। চা সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া। বিধানসভা ভোটের মুখে একের পর ঘোষণায় কার্যত কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল মিড ডে মিলও।  করোনা আবহে ১১ মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে রাজ্যে খুলছে সরকারি থেকে বেসরকারি স্কুল। ক্লাস হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিলের রান্না হয়নি। তবে স্কুল থেকে নিয়মিত চাল, আলু, ছোলা ও সাবান বিলি করা হয়েছে। আগামী মার্চ ও এপ্রিলে পড়ুয়াদের অতিরিক্ত আড়াইশো গ্রাম ডাল, ২০০ গ্রাম সোয়াবিন ও ৫০০ গ্রাম চিনি দেওয়া হবে।


সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এখন পড়ুয়ারা প্রতি মাসে মিড ডে মিল বাবদ ২ কেজি চাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি আলু ও একটি করে সাবান পায়। এর সঙ্গে ডাল, সয়াবিন ও চিনি দেওয়ার ঘোষণায় অত্যন্ত খুশি অভিভাবকরা। এক অভিভাবকের কথায়, খুবই ভাল প্রকল্প। আমরা তো ছোটখাটো কাজ করি। ছেলেমেয়েরা এবার পুষ্টিকর খাবার পাবে। তবে রাজ্য সরকারের এই ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর। দার্জিলিংয়ের তৃণমূল নেতা ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ রায় বলেছেন, সারা দেশের কোনও রাজ্যে মিড ডে মিলে এইরকম বরাদ্দ নেই। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই এটা দেওয়া হচ্ছে। তার কারণ এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


কিন্তু রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, রাজ্য সরকার তো বরাদ্দ করে দেয়। কিন্তু শেষ পর্ষন্ত পৌঁছয় না। ডিম তো দেওয়ার কথা। ছেলেমেয়েরা কি ডিম পায়? এই সব ঘোষণা হচ্ছে চুরির জন্য। ভোট যত এগিয়ে আসবে তত এইসব ঘোষণা হবে। মানুষ বুঝে গিয়েছে।


করোনা আবহে প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এখনও বন্ধ থাকছে স্কুল। এর মধ্যে মিড ডে মিলে ২ মাসের জন্য নতুন বরাদ্দ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।