কলকাতা : পেগাসাস বিতর্কে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানেও সেই ইস্যু উঠবে তা অনুমেয় ছিল রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের। সেইমতোই ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ ঘিরে সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


তিনি বলেন, পেগাসাসের নামে আমার-আপনার ফোন ট্যাপ হচ্ছে। আপনি বাড়িতে কখন ঘুমাচ্ছেন সেটাও ফোনে দেখা যাবে। কাউকে ফোন করতে পারি না, ফোন ট্যাপ হয়। আমার ফোন ট্যাপ হচ্ছে, রেকর্ড করা হচ্ছে। আমার ফোনের ক্যামেরা ঢেকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করছে বিজেপি। গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিচ্ছে ওরা। মানুষকে হেনস্থা করছে। ওরা একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। আমি চিদাম্বরমজির সঙ্গে ফোনে কথা পর্যন্ত বলতে পারি না। কারণ, আমার ফোন ট্যাপ হয়ে যাবে। চাইলেও শরদ পাওয়ারজির সঙ্গে কথা বলতে পারি না। দিল্লি বা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলতে পারি না। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে পারি না। কেন ? গরিবদের টাকা দেওয়ার পরিবর্তে, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য টাকা খরচ করছেন !স্পাইইং, বিটিং, কিলিং অ্যান্ড টকিং টু মাচ, ডুইং নাথিং-এই চলছে।


প্রসঙ্গত, পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কে তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করেছে 'দ্য ওয়্যার'। তাদের তরফে বলা হয়েছে, হ্যাক করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোন। এর পাশাপাশি রাহুল গাঁধীর দুটি ফোন নম্বরকেও টার্গেট করা হয়েছিল বলে খবর। টার্গেট ছিল রাহুলের কিছু সহযোগী, বন্ধুর ফোন নম্বরও। শুধু তাই নয়, ইজারায়েলি স্পাইওয়্যারের টার্গেট তালিকায় নাম কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণেরও। এছাড়াও আরও এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পেগাসাস টার্গেটে ছিলেন বলে দাবি 'দ্য ওয়্যার'-এর। তিনি হলেন প্রহ্লাদ প্যাটেল। লিক হওয়া লিস্টে শুধু তাঁর বা তাঁর স্ত্রীর ফোন নম্বরই ছিল না। মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও ১৫ জনের ফোন নম্বর ছিল সেই তালিকায়। এর মধ্যে রয়েছেন তাঁর রাঁধুনি এবং মালিও।


পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোন হ্যাকের অভিযোগের আঁচ পড়ে সংসদেও। আরও নাম সামনে আসবে, সরকারের জবাব চাইবে তৃণমূল, একথা বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।