গোপাল চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট: মুম্বই থেকে সোনা চুরি করে নিয়ে পালিয়ে আসা এক দুষ্কৃতী বীরভূম থেকে গ্রেফতার। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া ১৫৫ গ্রাম সোনা। গত ১২ এপ্রিল মুম্বই এর পাইকর থানা এলাকায় একটি সোনার দোকান থেকে ৫০০ গ্রাম সোনা চুরি হয়। সেই মামলায় অভিযুক্ত হাফিজুল শেখের খোঁজ শুরু হয়। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গতকাল বীরভূমের পাইকরে পৌঁছায় মুম্বই পুলিশ। পাইকর থানা ও মুম্বই পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে।


বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশ ফোন করে তাঁকে বিষয়টি জানায়। এরপর ওই যুবক ও তাঁর বাড়ি চিহ্নিত করে পাইকর থানা এলাকায় পুলিশ।  মুম্বই পুলিশ এবং পাইকর থানা এলাকার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত হাফিজুল শেখের  কাছ থেকে ১৯৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। আজকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে এবং মুম্বই পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে। 


উল্লেখ্য, চলতি বছর এপ্রিল মাসেই অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে পেস্টের আকারে সোনা চোরাচালানকারী একটি আন্তর্জাতিক চক্রের পর্দাফাঁস হয়। গোয়েন্দারা জানান, ওই চক্র মহিলাদের নিয়োগ করত। তাঁদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করাত। জানা গিয়েছে, ওই মহিলাদের বিশেষভাবে তৈরি অন্তর্বাস পরতে দেওয়া হতো। যার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হতো সোনার পেস্ট।


সম্প্রতি, লখনউ বিমানবন্দরে এমনই এক মহিলাকে পাকড়াও করে কাস্টমস। গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল, ৩৯ বছরের ওই মহিলা আন্তর্জাতিক সোনা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত। বেরনোর সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলাকে পাকড়াও করা হয়। তল্লাশিতে তাঁর অন্তর্বাসের মধ্যে থেকে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা প্রায় ১,২৫৯ গ্রাম সোনার পেস্ট উদ্ধার করা হয়। লখনউ বিমানবন্দরে কর্মরত এক কাস্টমস আধিকারিক জানান, ওই মহিলা দিল্লির বাসিন্দা। তিনি গতকাল দুবাই থেকে বিমানে লখনউ অবতরণ করেন। তল্লাশিতে মহিলার অন্তর্বাসের সঙ্গে সাঁটানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে হলুদ পেস্ট উদ্ধার হয়। মহিলাকে আদালতে তোলা হলে, তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।