দেশের অন্তত ২৭০০ কুনকি হাতি ’আধার কার্ড‘ পেতে চলেছে। খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সূত্রের খবর, হাতিগুলির রক্ত ও মলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। প্রোজেক্ট এলিফ্যান্টের ডিরেক্টর নোয়েল টমাস জানিয়েছেন, প্রতিটি হাতিকে একটি করে কার্ড দেওয়া হবে। ওই কার্ড অনেকটা আধার কার্ডের মতো। হাতিগুলির ডিএনএ-র ভিত্তিতে তা তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, ’’জেনেরিক ম্যাপিংয়ে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে হাতির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কাদের নিয়ন্ত্রণে হাতিগুলি থাকবে তা রাজ্যের বন্যপ্রাণ দফতরের প্রধান অনুমোদন করবেন। ওই কার্ডের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে, সব বন্দি হাতি রাজ্য বন দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে এবং হাতির উপরে অত্যাচারের ঘটনাও কমবে।‘‘
বর্তমানে ভারতে সব চেয়ে বেশি বন্দি হাতি রয়েছে অসমে। সংখ্যাটা প্রায় ১০০০। তারপর রয়েছে কেরল (৫০০) এবং তামিলনাড়ু (৩০০)তে। ২০১৮ সালে প্রথম জেনেরিক ম্যাপিং শুরু হয়েছিল কেরলে।
টমাসের মতে, জেনেরিক ম্যাপিংয়ের ফলে হাতিগুলির অবস্থান সহজে জানা যাবে এবং তাদের খাবার ও চিকিৎসা নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে।