নয়াদিল্লি : ড্রাগ পাচার ও জাতীয় সুরক্ষা (drug trafficking and national security) নিয়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) দু'দিনের জাতীয় সম্মেলন শুরু হল। অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা (Amit Sah)। ভার্চুয়ালি তাঁকে সাক্ষী করা হয় দিল্লি, চেন্নাই, গুয়াহাটি ও কলকাতা থেকে ৩১ হাজার কেজি ড্রাগ নষ্ট করার। অনুষ্ঠান মঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া ড্রাগ বিরোধী নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ জানান, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নারকোটিক্সের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন।


গত আট বছরে (২০১৪-২০২২) ড্রাগ সংক্রান্ত ধরপাকড় ২৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন কেস নথিভুক্তিকরণ বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ। এই সময় ব্যবধানে ৩৩. লক্ষ কেজি ড্রাগ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ। 'ড্রাগ পাচার থেকে আসা টাকা থেকে দেশবিরোধী কার্যকলাপ হয়ে থাকে', তাই সমাজকে সুস্থ রাখতে ও দেশকে সুরক্ষিত রাখতে ড্রাগ বিরোধী অভিযান ও কঠোর নীতি একান্ত প্রয়োজন বলেই জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


প্রসঙ্গত, ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৭৬৮ কোটি টাকার ড্রাগ উদ্ধার করা হয়েছিল। আর ২০১৪ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত এই আট বছরে যে পরিমাণ ড্রাগ দেশজুড়ে উদ্ধার হয়েছে, টাকার অঙ্কের বিচারে তা ২০ হাজার কোটি। পাঞ্জাব সহ সীমান্ত যে রাজ্যে বেশি সেখানে ড্রাগ উদ্ধার হওয়ার পরিমাণ বেশি। দেশের স্বার্থে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ড্রাগ বিরোধী কার্যক্রমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে বলেই তথ্য উঠে আসে সম্মেলনে। অমিত শাহ জানান, 'পাঞ্জাব সরকার সহ বাকি রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে এই ড্রাগ বিরোধী অভিযানে।'


কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা যাতে সুষ্ঠ সম্বন্নয় রেখে কাজ করতে পারে তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালে নার্কো কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (NCORD) তৈরি করা হয়। কার্যত জেলাস্তরে পৌঁছে ড্রাগ বিরোধী অভিযান চালাতে হবে বলেই জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি দেশের ২১ রাজ্যে ইতিমধ্যে অ্যান্টি নারকোটিক্স টাক্স ফোর্স গঠন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তোলনে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন মীরাবাঈ চানু