নয়া দিল্লি : এই তথ্য জানলে অবাক হবেন আপনিও। দশ বছর বয়সি ভারতের প্রায় ৩৭.৮ শতাংশ শিশুর আছে ফেসবুক অ্য়াকাউন্ট। একই বয়সি ২৪.৩ শতাংশের আছে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। যা বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মের গাইডলাইন-বিরুদ্ধ। শিশুর অধিকার সুরক্ষা সম্পর্কিত জাতীয় কমিশন(NCPCR) এই তথ্য পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ন্যূনতম ১৩ বছর বয়সের কথা বলা আছে।


গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারতে ১০ বছর বয়সি ৩৭.৮ শতাংশের ফেসবুক ও ২৪.৩ শতাংশের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে। যা বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মের নিয়ম বিরুদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট থাকে যা শিশুদের পক্ষে উপযুক্ত নয়। এই কন্টেন্ট হিংসাত্মক থেকে শুরু করে অশ্লীল-বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে কড়া বিধি-নিষেধ প্রয়োজন।


যেসব শিশুর বড় বড় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপস বা সাইটে অ্যাকাউন্ট আছে, তাদের কাছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামই বেশি জনপ্রিয়। এই গবেষণার জন্য দেশের ছয়টি রাজ্যের ৫ হাজার ৮১১ জনের মতামত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৯১ জন স্কুলপড়ুয়া, ১ হাজার ৫৩৪ জন অভিভাবক এবং ৬০ স্কুলের ৭৮৬ জন শিক্ষক রয়েছেন।


গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে ৩০.২ শতাংশের নিজস্ব স্মার্টফোন আছে। সব ক্ষেত্রেই তারা তা ব্যবহার করে থাকে। তবে শিশুরা অনলাইন পড়াশোনা ও ক্লাসের ক্ষেত্রেই বেশি স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ৯৪.৮ শতাংশ এমনটাই জানিয়েছে। 


এই সার্ভের সময় ওই বয়সিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তারা স্মার্টফোন/ইন্টারনেটে কোন ফিচার নিয়ে নাড়াঘাঁটা করতে বেশি ভালোবাসে। তাতে ৫২.৮ শতাংশ জানিয়েছে, তারা চ্যাট করতে ভালোবাসে। মাত্র ১০.১ শতাংশ অনলাইন লার্নিং বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে ভালোবাসে। এছাড়া ৭৮.৯০ শতাংশ শিশু জানিয়েছে, তারা গেম, গান শুনতে বা চ্যাটিং করতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় কাটায় স্মার্টফোনে। ১৫.৮০ শতাংশ শিশু কাটায় ২ থেকে ৪ ঘণ্টা সময়। ৫.৩০ শতাংশ শিশু ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করে।