চিকিৎসকদের এই সর্বভারতীয় সংগঠনের বক্তব্য, অতিমারীর দিনে দেশের মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন যে চিকিৎসকরা তাঁদের রীতিমতো শহিদের সম্মান দেওয়া উচিত। তাতো করা হয়ইনি, উপরন্তু সংশ্লিষ্ট বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদে অতিমারী নিয়ে কথা বলার সময় একবারও এই প্রয়াত চিকিৎসকদের কথা উল্লেখই করেননি। দেশের সরকারকে দোষারোপ করে ডাক্তারদের সংগঠনটি বলেছে, যেসব চিকিৎসক প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে পিছপা হননি, তাঁরা তো জাতীয় নায়ক। মনে রাখতে হবে দেশের মানুষ, জাতিকে রক্ষা করার জন্যই তাঁরা জীবনের মায়া তুচ্ছ করে দিনের পর দিন লড়াই করে গিয়েছেন, করে যাচ্ছেন এবং অনেকেই এভাবে মৃত্যুবরণও করেছেন। এঁদের কাছে গোটা জাতি ও দেশ ঋণী।
উল্লেখ্য করোনাভাইরাস মহামারীতে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮২ জন চিকিৎসক। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার ডাক্তার। কিন্তু এঁদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদাসীনতায় মানসিক ভাবে মারাত্মক আহত হয়েছে চিকিৎসক মহল। তাঁদের বক্তব্য, ১৯টি পরিচ্ছদের লেখা সংসদ ভবনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পাঠ করলেন, আর বেমালুম ভুলে গেলেন এই মহামারীতে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের একটানা, অবিশ্রান্ত লড়াইয়ের কথা। অথচ এঁদের লড়াই ছাড়া দেশ এই পরিস্থিতির সঙ্গে যে লড়াইটা চালাচ্ছে, তা সম্ভব হতো না।