নয়াদিল্লি: লকডাউন শুরু হওয়া ইস্তক 'লাইফলাইন উড়ান' প্রকল্পের অন্তর্গত ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মোট ৪১৫টি বিশেষ ফ্লাইট অপারেট করেছে এয়ার ইন্ডিয়া, ভারতীয় বায়ুসেনা, অ্যালায়েন্স এয়ার ও বেসরকারি সংস্থাগুলি। এরমধ্যে ২৪১টি উড়ানের দায়িত্বে ছিল এয়ার ইন্ডিয়া ও অ্যালায়েন্স এয়ার। এখনও পর্যন্ত ৭৮০ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। লাইফলাইন উড়ান এখনও পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছে ৪ লক্ষ কিলোমিটারের বেশি।


প্রসঙ্গত, লাইফলাইন উড়ান-এর দায়িত্বে রয়েছে দেশের অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। মূলত, কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভারতের এই লড়াইয়ে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত প্রান্তে অত্যাবশ্যকীয় মেডিক্যাল সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বিশেষ পরিষেবা চালু করা হয়।





এর মধ্যে গতকালই, ৭,২৫৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ২ টন সামগ্রী পৌঁছে দেয় পবন হংস। এই পরিষেবায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল দেশের উত্তর-পূর্ব, দ্বীপ ও পার্বত্য অঞ্চলগুলির ওপর। ভারতীয় বায়ুসেনা ও পবন হংস যেমন জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, দ্বীপপুঞ্জ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অতি-প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল কার্গো ও রোগীদের নিয়ে উড়েছে। একইভাবে, স্পাইসজেট থেকে শুরু করে ব্লু ডার্ট, ইন্ডিগো ও ভিস্তারাও এই পরিষেবায় সহায়তা করেছে।


অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ব্লু-ডার্ট ১১৪ টন মেডিক্যাল সামগ্রী গুয়াংঝৌ ও সাংহাই থেকে তুলে ভারতে এনেছে। একইভাবে, ৬৮৩টি ফ্লাইট অপারেট করেছে স্পাইসজেট। প্রায় ৫ হাজার টন কার্গো বহন করেছে ১১ লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে।





১৫৩ টন সামগ্রী নিয়ে চিন থেকে ভারতে এসেছে স্পাইসজেট। এই সময়ে মোট ৬৪টি কার্গো ফ্লাইট অপারেট করেছে ইন্ডিগো। পাড়ি দিয়েছে ১.০১ লক্ষ কিলোমিটার। পুরোটাই নিখরচায়। আবার, ১৭টি ফ্লাইট নিয়ে ২৪ হাজারের বেশি দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ১২৩ টন কার্গো বহন করেছে ভিস্তারা।